এ ঘটনার পর কর্তৃপক্ষ ওয়াকহাট নামের ওই হাসপাতালটি বন্ধ করে দিয়ে সেটিকে আইসোলেটেড করেছে বলে এনডিটিভি জানিয়েছে।
আগেই মুম্বাইকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করেছিল ভারত সরকার। এ অবস্থার মধ্যেও কীভাবে হাসপাতালটিতে দ্রুত সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ল তদন্ত করে তা বের করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে মুম্বাইরে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
ওই হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের দুইবার পরীক্ষার করে সবার ফলাফল নেগেটিভ না আসা পর্যন্ত হাসপাতালটিতে প্রবেশ ও সেখান থেকে বের হওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত হাসপাতালটির ২৭০ জন রোগী ও নার্সকে পরীক্ষা করা হয়েছে।
রোববার ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কোভিড-১৯ এর বড় ধরনের প্রাদুর্ভাবের ঘটনায় আইসোলেশনের পদক্ষেপ নেওয়ার আগ্রাসী পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। এই পরিকল্পনায় বাফার জোন ঘোষণা ও আক্রান্ত এলাকাগুলোকে এক মাসের জন্য সিল করে বন্ধ করে দেওয়ার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
শেষ আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ার অন্তত চার সপ্তাহের মধ্যে ওই এলাকায় নতুন কোনো আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া না গেলে ওই লকডাউন অবস্থা তুলে নেওয়া হবে, পরিকল্পনায় এমনটিই বলা হয়েছে।
ভারতের অন্যতম সবচেয়ে ভাইরাস আক্রান্ত মেট্রোপলিটন শহর মুম্বাইয়ে এ পর্যন্ত ৪৫৮ জনের দেহে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে ৭৪৫ জন আক্রান্ত নিয়ে সংক্রমণ সংখ্যায় শীর্ষে আছে মহারাষ্ট্র। ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাই এই মহারাষ্ট্রেরই প্রধান শহর।
এশিয়ার বৃহত্তম বস্তি বলে পরিচিত ধারাভির অবস্থানও এই শহরে। ১০ লাখ বাসিন্দার ঘনবসতিপূর্ণ ধারাভিতে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাস আক্রান্ত পাঁচ জন শনাক্ত হয়েছেন, তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
ভারতজুড়ে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা চার হাজার ৫০০ জন, মৃতের সংখ্যা ১১৮ জন ও সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা ৩২৮ জন বলে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।