আগামী মঙ্গলবার
দুর্গম সাজেক ইউনিয়নের হাম-রুবেলা আক্রান্ত গ্রামগুলোতে এই প্রচার (ক্যাম্পেইন)
শুরু হবে বলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ইফতেখার আহম্মেদ জানিয়েছেন।
রাঙামাটি
স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত সাজেকের অরুণপাড়ায়
হামে আক্রান্ত হয়ে পাঁচ শিশু মারা যায়। এছাড়া গত ২২ মার্চ ও ২৪ মার্চ সাজেকের লংথিয়ান
পাড়ায় আরও দুই শিশুর মৃত্যু হয়। অর্থাৎ এক মাসের মধ্যে সাজেকের দুই গ্রাম অরুণ ও লংথিয়ান পাড়ায় সাত
শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
এ ইউনিয়নের
অরুণপাড়া, লংথিয়ান পাড়া, কমলাপুর পাড়া, তারুং পাড়া ও হাইচপাড়ায় আরও ১২৩টি শিশু
হামে আক্রান্ত রয়েছে। বাঘাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাদের চিকিৎসা চলছে বলে জানায় স্বাস্থ্য বিভাগ।
স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা আরও জানান, সর্বশেষ গত ২৫ মার্চ এই এলাকার
এক পরিবারে হাম আক্রান্ত পাঁচ ভাইকে হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তারা এখন সুস্থ আছে।
বাঘাইছড়ি উপজেলা
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ইফতেখার আহম্মেদ জানিয়েছেন, সাজেকের সবকটি
গ্রামের ছয় মাস থেকে পনেরো বছরের নিচের বয়সের প্রায় ১১/১২ হাজার শিশুকে এই টিকা ক্যাম্পেইনের
আওতায় আনা হবে। কোনো শিশু যাতে টিকা গ্রহণ থেকে বাদ না পড়ে সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ নজর
রাখা হবে।
ক্যাম্পেইন
চলাকালে আওতাভুক্ত এলাকাগুলোতে দ্রুত টিকা পৌঁছাতে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও উপজেলা প্রশাসন
হেলিকপ্টারসহ সার্বিক সহযোগিতা দেবে বলে জানান ইফতেখার।
বাঘাইছড়ি উপজেলা
নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আহসান হাবিব জিতু বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগ বিভিন্ন এনজিও
এবং ইউনিয়ন পরিষদের সহায়তায় জরুরি হাম পরিস্থিতি মোকাবিলায় ৭ এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিল
পর্যন্ত হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন করা হবে। এ ক্যাম্পেইনের আওতায় সাজেকের ছয় মাস থেকে
পনেরো বছর বয়সের নিচে প্রায় ১১/১২ হাজার শিশুকে টিকা প্রদান করা হবে।
“এই লক্ষ্যে
প্রতিটি ওয়ার্ডে স্বেচ্ছাসেবক টিম তৈরি করা হচ্ছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে সম্ভব না হলেও ইউনিয়ন
ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবক টিম থাকবে, যাতে কেউ হাম-রুবেলা টিকা থেকে বঞ্চিত না হয়।”
রাঙামাটির অসুস্থ ৫
ভাইকে হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রামে