রোববার যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাস মহামারীর কেন্দ্রস্থল নিউ ইয়র্কে প্রথমবারের মত নতুন আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা আগের দিনের চেয়ে কিছুটা কমার খবর এসেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প করোনাভাইরাস নিয়ে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে একে ‘শুভ লক্ষণ’ বলে বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি সতর্ক করে দিয়ে এও বলেন, সামনের দিনগুলোতে এই মহামারী চরম সীমায় পৌঁছানোর ফলে আরো অনেক মানুষের মৃত্যু হবে।আমেরিকানদেরকে এ কঠিন সময় পাড়ি দিতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের যেসব অঙ্গরাজ্যের এ সময় সবচেয়ে বেশি সহায়তা প্রয়োজন সেগুলোতে মাস্ক ও ভেন্টিলেটরসহ ও আরও বেশি চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহ করা হবে বলেও জানান ট্রাম্প।
বিবিসি জানায়, নিউ ইয়র্কে করোনাভাইরাস সংক্রমণ কমা ছাড়াও ইতালি এবং স্পেনে এ ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা এবং মৃত্যুহার কমতে থাকার ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রে ‘আশা জাগিয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন ট্রাম্পের করোনাভাইরাস টাস্ক ফোর্সের সদস্য ডেবোরাহ ব্রিক্স।
তিনি বলেন, “আগামী সপ্তাহে মেট্রোপলিটন এলাকাগুলোতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ স্থিতিশীল অবস্থায় চলে আসবে বলেই আমরা আশা করছি। ওই এলাকাগুলোতে কয়েক সপ্তাহ আগে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটেছিল।”
যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৩৩৭,২৭৪ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ৯ হাজার ৬১৯ জন।
রোববার নিউ ইয়র্কের গভর্নর এন্ড্রু কুয়োমো জানান, নিউ ইয়র্কে নতুন ৫৯৪ জনের মৃত্যু নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ১৫৯ জনে এবং আক্রান্তের সংখ্যা ১২২,০০০ জন। তবে স্বস্তির কথা হচ্ছে, ৭৫ শতাংশ মানুষই সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন।
এক সপ্তাহের মধ্যে এই প্রথম রাজ্যটিতে হাসপাতালে আসা রোগীর সংখ্যা কমেছে এবং মৃত্যুর সংখ্যাও আগের দিনের তুলনায় কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে নতুন রোগী আসা ৫০ শতাংশ কমেছে বলে জানিয়েছেন নিউ ইয়র্কের গভর্নর।
এখবরেই ট্রাম্প বলেছেন, তিনি সুড়ঙ্গের শেষে আলোর ঝলক দেখছেন। তবে বলেছেন, এতেই খুশী হওয়ার কিছু নেই। কারণ, মৃত্যু মিছিল এখনো থামেনি।
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য রাজ্য যেমন: পেনসিলভানিয়া, কলোরাডো এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে মৃত্যু এখন বাড়তে দেখা যাচ্ছে। “গোটা দেশেই এমনটি ঘটতে থাকবে।আমেরিকানরা যেন তা সমঝে চলেন” বলে সতর্ক করেছেন মার্কিন বিশেষজ্ঞ জেরম এডামস।