সেসঙ্গে রপ্তানিকারকদের জন্য তহবিল থেকে ঋণের সুদের হার কমিয়ে ২ শতাংশে বেঁধে দিয়ে মঙ্গলবার সার্কুলার জারি হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক কাজী ছাইদুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের পরিমাণ বাড়িয়ে ৫ বিলিয়ন ডলার করা হয়েছে।
“এখন ইডিএফ থেকে ঋণ নিলে লাইবর রেটের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক থাকবে না। সুদের হার হবে সরাসরি ২ শতাংশ। এই ২ শতাংশের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংককে দিতে হবে ১ শতাংশ। আর যে ব্যাংকগুলো ঋণ বিতরণ করবে তারা রাখবে ১ শতাংশ।”
এতদিন ইডিএফ থেকে কোনো রপ্তানিকারক ঋণ নিলে লাইবর (লন্ডন ইন্টারব্যাংক অপার রেট) এর সঙ্গে ১ দশমিক ৫ শতাংশ যোগ করে সুদের হার নির্ধারণ করা হত। সেক্ষেত্রে লাইবর রেট প্রতিদিনই উঠানামা করায় সুদের হার ৩ থেকে ৪ শতাংশের মতো পড়ে যেতো।
নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে দেশে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার পাঁচটি প্যাকেজের আওতায় মোট ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার যে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন তাতে ইডিএফ ফান্ড ৩ দশক ৫ বিলিয়ন ডলার থেকে বাড়িয়ে ৫ বিলিয়ন ডলার করার কথা বলেছিলেন। এর আগেই প্রধানমন্ত্রী রপ্তানিমুখী শিল্পের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজের ঘোষণা করেছিলেন।
স্বাধীনতার পর বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় মাত্র ১৫ মিলিয়ন ডলার নিয়ে ইডিএফ গঠন করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। দেশের রপ্তানি আয় বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সেই তহবিল বাড়তে বাড়তে ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার হয়েছিল।
মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে রপ্তানিকারকদের সহায়তা দিতে প্রধানমন্ত্রী গত ২৫ মার্চ সেই তহবিল আরও ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার বাড়িয়ে মোট ৫ বিলিয়ন ডলার করার ঘোষণা দেন।
এর ফলে ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ অতিরিক্ত ১২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা ইডিএফ তহবিলে যুক্ত হবে।
ব্যাক টু ব্যাক এলসির আওতায় কাঁচামাল আমদানি সুবিধা বাড়াতে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ, নিট পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিকেএমইএসহ অন্যান্য রপ্তানিকারক সংগঠনের সদস্যরা ইডিএফ থেকে ঋণ পেয়ে থাকেন।
এককভাবে একজন ওভেন ও নিট পোশাক রপ্তানিকারক ইডিএফ থেকে সর্বোচ্চ ২৫ মিলিয়ন ডলার নিতে পারেন।
এবিষয়ে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি ও বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আনোয়ার-উল আলম পারভেজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ইডিএফ তহবিলের পরিমাণ বাড়ায় ও সুদের হার কমায় এই সংকটে রপ্তানির খাতের ব্যাপক সহায়তা হবে।