আক্রান্তদের
মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায়
আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে, তাতে দেশে কোভিড-১৯ এ মৃতের
সংখা বেড়ে হয়েছে ১৭ জন।
এক
মাস আগে দেশে প্রথমবারের মত কারো দেহে
সংক্রমণ ধরা পড়ার পর এক দিনে
মৃত্যু ও আক্রান্তের এটাই
সর্বোচ্চ সংখ্যা। আক্রান্তদের মধ্যে মোট ৩৩ জন সুস্থ
হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
মঙ্গলবার
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য
তুলে ধরেন আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে চারজন
পুরুষ, একজন নারী। ষাটোর্ধ্ব দুজন, দুজনের বয়স ৫০ এর বেশি, একজন চল্লিশোর্ধ্ব। দুজন
ঢাকার, তিনজন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলার।
নতুন করে যাদের মধ্যে কোভিড-১৯ ধরা পড়েছে, তাদের ২৮ জন পুরুষ
এবং ১৩ জন নারী।
আক্রান্তদের মধ্যে ১০ বছরের কম বয়সী শিশু আছে একজন। এছাড়া
১১ থেকে ২০ বছর বয়সের মধ্যে ৪ জন, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সের ১০ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ৫
জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ৯ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৭ জন এবং ৫ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি।
“নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ২০ জনই
ঢাকার। এছাড়া নারায়ণগঞ্জকে আমরা আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ক্লাস্টার হিসেবে চিহ্নিত করেছি।
সেখানে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ জন। কুমিল্লা, কেরাণীগঞ্জ এবং চট্টগ্রামে একজন
করে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন।”
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ সম্মেলনে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৭৯২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এখন দেশের বিভিন্ন স্থানে
১০ হাজার ১৯০ জন হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন; আর প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ১২৬ জন।