মনিরুজ্জামান লিংকন
নামের ওই আইনজীবী বলেছেন, ডাক যোগাযোগ ব্যবস্থা সীমিত থাকায় মঙ্গলবার সকালে সংশ্লিষ্টদের
দাপ্তরিক ই-মেইলে ওই নোটিস পাঠিয়েছেন তিনি।
তথ্য সচিব, অর্থ
সচিব, স্বাস্থ্য সচিব ছাড়াও বাংলাদেশ করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সেলের ই-মেইলেও নোটিসটি
পাঠানোর কথা বলেছেন তিনি।
তাতে বলা হয়েছে,
নভেল করোনাভাইরাস বিশ্বে মহামারী আকার ধারণ করেছে। সেই ব্যাপকতা থেকে বাংলাদেশও মুক্ত
না।
“ইতোমধ্যে করোনাভাইরাসে আমাদের দেশও
আক্রান্ত হয়েছে। শুধু তাই নয়, এর প্রভাবে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে।
“রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে
শুরু করে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সর্বস্ব
দিয়ে করোনাভাইরাস মোকাবেলার চেষ্টা করে যাচ্ছে।”
করোনাভাইরাসের কোনো
প্রতিষেধক যে এখনও পাওয়া যায়নি, সে কথা উল্লেখ করে নোটিসে বলা হয়, সামাজিক সচেতনতাই
এ ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার একমাত্র স্বীকৃত পন্থা।
“আর এই সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির
জন্য সবচেয়ে বেশি অবদান রাখছেন বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদ কর্মীরা।”
নোটিসে বলা হয়, তথ্যপ্রযুক্তি
ব্যবহার করে যেমন প্রকৃত তথ্য দেওয়া হচ্ছে, তেমনি তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে নানা গুজবও
ছড়ানো হচ্ছে। এর বিপরীতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা মাঠ থেকে সঠিক তথ্য তুলে
এনে সঠিক তথ্যটি জনগণের কাছে তুলে ধরেন।
“অর্থাৎ তারা রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভটির
হয়ে গুরুদায়িত্ব পালন করে যান সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে।”
সাংবাদিকদের ঝুঁকি
ও তাদের পেশাদারিত্বের গুরুত্ব তুলে ধরে বিশেষভাবে তাদের সুরক্ষা ব্যবস্থা করার পাশাপশি
বিশেষ প্রণোদনা দেওয়ার অনুরোধ করা হয় নোটিসে।
এরই মধ্যে সংবাদ
সংগ্রহ করতে গিয়ে একজন সাংবাদিকের আক্রান্ত হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে নোটিসে বলা হয়, “করোনাভাইরাস প্রতিরোধ যুদ্ধে সম্মুখসারির
যোদ্ধা হিসাবে তাদের সুরক্ষার জন্য পিপিইসহ (বিশেষ সুরক্ষা পোশাক) নিরাপদ থাকার যাবতীয়
সরঞ্জম দেওয়া হোক। পাশাপাশি সঙ্কটপূর্ণ অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে তাদের বিশেষ প্রণোদনা
দেওয়ারও ব্যবস্থা করা হোক।”
আইনজীবী মনিরুজ্জামান
লিংকন বিডিনিউজটোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সাত দিন সময় বেঁধে দিয়ে এর মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে
অনুরোধ করেছি নোটিসে। যদি তারা সেটা না করেন তবে জনস্বার্থে এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া
অনুসরণ করা হবে।”