মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়
তার মৃত্যু হয় বলে জাপার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী জানিয়েছেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, ৭৬ বছর বয়সী জব্বার দীর্ঘদিন ধরে
বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন।
নবম জাতীয় সংসদের সদস্য, জাপার ভাইস চেয়ারম্যান জব্বার স্ত্রী, তিন ছেলে
ও চার মেয়ে রেখে গেছেন।
তার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, “এম
এ জব্বার ছিলেন গণমানুষের অনুরাগে সিক্ত একজন নেতা। তার মৃত্যুতে জাতীয় পার্টির স্থানীয়
নেতৃবৃন্দ একজন অভিভাবক হারালো। মরহুম এমএ জব্বার বেঁচে থাকবেন তার কর্ম ও উন্নয়নের
মাঝে।”
২০১৪ সালে সাবেক সাংসদ এম এ জব্বার এবং তার ছেলে মাহবুব হোসেনের বিরুদ্ধে
জ্ঞাত আয়-বহির্ভূতসম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)।
জব্বারের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৭৩ লাখ ৩৪ হাজার ৪৯০ এবং তার ছেলের বিরুদ্ধে
১৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ করা হয়েছিল।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) অনুমোদনহীন ভবনের তালিকাতে নাম এসেছিল
জব্বার টাওয়ারের, যার মালিকানা এম এ জব্বার ও তার ভাই এম এ গফ্ফারের।
অভিযোগে বলা হয়েছিল, ঢাকার গুলশান-১ নম্বর গোলচত্বরের কাছে ২২ তলা জব্বার
টাওয়ারের নয় তলা পর্যন্ত অনুমোদন ছিল। বাকি ১৩ তলা অবৈধ।