ক্যাটাগরি

ঝালকাঠির থাই পেয়ারায়ও করোনাভাইরাসের ‘ছোবল’

স্থানীয় বাজারে সরবরাহ করতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে পেয়ার চাষিদের। শ্রামক পাওয়া যাচ্ছে না; রয়েছে পরিবহন সংকট।গাছেই পেয়ারা নষ্ট হবে বলে আশঙ্কা করছেন
তারা।

জেলায় গত পাঁচ বছর ধরে বাণিজ্যিকভাবে থাই পেয়ার চাষ করে লাভবান হয়েছেন বেশ কয়েকজন উদ্যোক্তা। এর মধ্যে সদর উপজেলার শেখেরহাট ইউনিয়নের শিরযুগ গ্রামের রূপসী বাংলা থাই পেয়ারা উল্লেখযোগ্য।

রূপসী বাংলা থাই পেয়ারা চাষের উদ্যোক্তা কামাল হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর
ডটকমকে বলেন, পেয়ারায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় এখন করোনাভাইরাস সংকটে স্থানীয় বাজারে পেয়ারার ব্যপক চাহিদা। মাল্টা ও কমলার সরবরাহ কম থাকায় স্থানীয় পেয়ারার উপর ঝুঁকে পড়েছেন অনেকেই।

“কিন্তু এখানেও পড়েছে করোনাভাইরাসের ছোবল। দ্রুত পচনশীল এই ফল এখন গাছেই পচে যাচ্ছে। পাওয়া যাচ্ছে না ফল তোলার শ্রমিক। বাজারজাত করার জন্য পরিবহন পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে বিপুল পরিমান
পেয়ারা তার বাগানেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।”

তাই তিনি নিজে কয়েকজন লোক নিয়ে দিনভর এখন ফল তোলায় ব্যস্ত সময় পার করছেন বলে জানান।

এ ব্যাপারে ঝালকাঠির অতিরিক্ত
পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কোনো প্রকার কৃষি পণ্য
পরিবহনে বাধা নেই। যারা বাধার সৃষ্টি করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঝালকাঠির এই থাই পেয়ারা পাইকারি ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরা বাজারে তা ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে বেচাকেনা হচ্ছে।