বুধবার ঢাকার কাকরাইল মসজিদ থেকে তাবলিগ জামাতের শুরা সদস্য অধ্যাপক ইউনুস সিকদার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশ দেওয়া হয়।
তাবলিগ অনুসারীদের উদ্দেশে এতে বলা হয়, “ধর্ম মন্ত্রণালয়ের করোনাভাইরাস সম্পর্কিত বিজ্ঞপ্তি আপনারা নিশ্চয়ই দেখেছেন। কাকরাইল আহলে শুরা হাযরাত ও অন্যান্য সাথীগণ মিলে মাশোয়ারা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, সব জেলায় আপনারা উপরোক্ত বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিকে (ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি) গুরুত্ব দিয়ে নিজেরা ও সবাই বাস্তবায়ন করবেন।
“তিন চিল্লা, এক চিল্লার জামাত বা মাস্তুরাতসহ যে কোনো জামাত যারা আল্লাহর রাস্তায় চলতেছেন তারা যার যার বাড়ি রওয়ানা হয়ে যাবেন। প্রয়োজনে প্রশাসনের সাহায্য নেবেন।
“বাড়ি ফিরে দোয়া, তেলাওয়াত, দাওয়াত ও অন্যান্য এবাদত ও তওবা এস্তেগফার করে পুরা উম্মতের জন্য আল্লাহ পাকের দরবারে মাফ চাইবেন।”
তাবলিগের ৩২১ বিদেশিকে আনা হল দুই মসজিদে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তাবলিগ জামাতের কেন্দ্রের একজন সদস্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সারা দেশের গ্রামে-গঞ্জে প্রায় ১৬০০ তাবলিগ জামাত ছিল। কিন্তু গতকাল ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে যে, কোনো মুসল্লি আর মসজিদে যেতে পারবে না। তাহলে ওই সব তাবলিগ জামাত আর কোনোক্রমে তাদের দাওয়াতি কাজ করতে পারবেন না। তাই সবাইকে চলে আসার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
দিল্লির মসজিদে জামাতের পর ৭ আক্রান্তের মৃত্যু, পজিটিভ আরো ৫০
তিনি বলেন, “ওই সব তাবলিগ জামাতে বিদেশি কোনো মেহমান নেই। বিদেশি মেহমান সবাই নিরাপদে ও সুস্থ আছেন।”