ক্যাটাগরি

দিল্লিতে সরকারি হাসপাতালের এক চিকিৎসক, ১১ নার্স আক্রান্ত

গত সপ্তাহে এই হাসপাতালের এক চিকিৎসক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর হাসপাতালটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, পরে হাসপাতালটির আরও ছয় নার্সের দেহেও ভাইরাসটির অস্তিত্ব শনাক্ত হয়; এখন সবমিলিয়ে হাসপাতালটির মোট ১৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে এনডিটিভি জানিয়েছে।

দিল্লি স্টেট ক্যান্সার ইনিস্টিটিউট নামের ওই হাসপাতালটির ১৯ রোগীর নমুনাও করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে কর্মকর্তারা এনডিটিভিকে জানিয়েছেন। 

গত সপ্তাহে হাসপাতালটিতে একজন করোনাভাইরাস রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়, তিনি হাসপাতালটিরই একজন চিকিৎসক। এরপর হাসপাতালটির বর্হিবিভাগ, দপ্তর ও ল্যাব বন্ধ করে দেওয়া হয়।

গত মাসে ওই চিকিৎসকের পরিবার বিদেশ থেকে ফিরেছিল এবং তিনি তাদের মাধ্যমে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন বলে খবর প্রকাশিত হয়েছিল।

“মাত্রই যুক্তরাজ্য থেকে ফিরে আসা ভাই ও ভাবীর মাধ্যমে ওই চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তিনি সম্প্রতি ভাইয়ের বাসায় গিয়েছিলেন,” গত সপ্তাহে বলেছিলেন দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন।

এরপর ধারাবাহিক সংক্রমণের মধ্য দিয়ে তার সহকর্মী চিকিৎসক ও নার্সরাও আক্রান্ত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

হাসপাতালটির ৪৫ জন কর্মীকে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে। কর্মীদের মধ্যে এতো দ্রুত সংক্রমণ কীভাবে ছড়ালো হাসপাতাল প্রশাসন তা তদন্ত করে দেখছে বলে জানা গেছে।

এর আগে দিল্লির সরকার পরিচালিত একটি মহল্লা ক্লিনিকের এক চিকিৎসক দম্পতি করোনাভাইরাস আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছিল। তারা সৌদি আরব থেকে ফিরে আসা রোগীদের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়েছিলেন বলে ধারণা করা হয়। 

সোমবার পর্যন্ত ভারতের রাজধানীতে মোট কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫৩২ ও মৃত্যু হয়েছে সাত জনের। এদিন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, আক্রান্ত লোকজনকে শনাক্ত ও পৃথক করার জন্য তার সরকার পরীক্ষার আওতা বহুগুণ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে।   

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল নাগাদ ভারতে কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা চার হাজার ৭৭৮ জন, মৃতের সংখ্যা ১৩৬ জন ও সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা ৩৮২ জন।