ক্যাটাগরি

নড়িয়া-সখিপুরে চিকিৎসক যাচ্ছেন রোগীদের কাছে

এই
সঙ্কটের সময় গ্রামের মানুষদের সেবা দিতে চিকিৎসকই পৌছে যাচ্ছেন রোগীদের কাছে।

সোমবার
থেকে এ সেবা চালু হয়েছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটককে জানান নড়িয়া-সখিপুরের সংসদ
সদস্য ও পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম।

করোনাভাইরাসের
মহামারীতে ঘরে থাকা মানুষের কাছে চিকিৎসার মতো জরুরি সেবা পৌছে দেওয়ার জন্যই এ
উদ্যোগ বলে জানান তিনি।

শামীম
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা মার্চের এক তারিখ থেকেই বিভিন্ন কার্যক্রম
শুরু করেছি। গতকাল থেকে শুরু হয়েছে ভ্রাম্যমাণ অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে জরুরি চিকিৎসাসেবা।

“ডাক্তারের
কাছে রোগী নয়, রোগীর কাছে ডাক্তার’- শিরোনামে এই সেবায় যুক্ত করা হয়েছে দুটি
অ্যাম্বুলেন্স। প্রতিটি অ্যাম্বুলেন্সে দুজন ডাক্তার ও দুইজন নার্স থাকবেন। সঙ্গে
থাকছে ওষুধও।”

অ্যাম্বুলেন্সগুলো
প্রতিদিন একটি করে ইউনিয়নে অর্থাৎ দুই উপজেলার দুটি ইউনিয়নে যাবে।

সম্পূর্ণ
বিনামূল্যে এই চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান শামীম।  

ভ্রাম্যমাণ
চিকিৎসকদের সেবা পেতে ০১৭৮৮৭৩৬১৫১, ০১৭১৮৩৪৫৭৮৮ ও ০১৯১৭৭৭৭২৬৪ নম্বরে যোগাযোগ করতে
হবে।

সরকারি
প্রচেষ্টার বাইরে চিকিৎসকদের জন্য ২০০ পিপিই এবং মাস্ক, গ্লাভস, হেক্সিসলও সোমবার
বিতরণ করা হয়েছে বলে জানান শামীম।

শরিয়তপুর-২
সংসদীয় আসন নড়িয়া ও সখিপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত। এ আসন থেকে প্রথমবারের এমপি হয়ে
উপমন্ত্রী হয়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এনামুল হক শামীম।

তিনি
বলেন, “আমার আসনে ২৫টা ইউনিয়ন। এগুলো প্রত্যন্ত চরাঞ্চল।

“আর
নড়িয়াতে যেহেতু ইতালি প্রবাসীরা এসেছে। করোনাভাইরাসে দুইজন মারা গেছেন। এজন্য
উপজেলা স্বাস্থ্যসেবা ফ্রি রেখে বাড়ি বাড়ি ডাক্তার পাঠিয়ে দিচ্ছি আমরা।”

চিকিৎসা
সেবা ছাড়াও সরকারি ত্রাণের বাইরে প্রত্যেকটা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত
প্রায় ১৫ হাজার পরিবারকে ত্রাণ দেওয়া হয়েছে বলে জানান শামীম।

তিনি
বলেন, সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে নিরাপদ
সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাবার পৌছে দেওয়া হচ্ছে।

নড়িয়াতে
৩৪টি বাড়ি লকড ডাউন অবস্থায় আছে, যেখানে ১৮০ জনের খাবারসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য
পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান শামীম। একই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সখিপুরে লকড ডাউনে
থাকা ৬টি বাড়ির ২৬ বাসিন্দার জন্যও।

শামীম
জানান, জেলার সদর হাসপাতালে ২৫টি আইসোলেশন বেড প্রস্তুত রাখা আছে এবং পাঁচটি
উপজেলা হাসপাতালে পাঁচটি করে আরও ২৫টি আইসোলেশন বেড রাখা হয়েছে কোভিড-১৯ রোগীদের
জন্য।