মঙ্গলবার টাঙ্গাইল সার্কিট হাউজে পুলিশ, জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী এবং জনপ্রতিনিধিদের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম জানিয়েছেন।
পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ জারি থাকবে বলেও জানান শহীদুল ইসলাম।
জেলা প্রশাসক জানান, টাঙ্গাইল জেলার সীমান্তবর্তী এলাকাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে বিশেষ চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। একই সঙ্গে টাঙ্গাইল পৌর এলাকার চতুর্দিকে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে যাতে শহরে বা জেলায় কোনো গণপরিবহন কিংবা কোনো ব্যক্তি প্রবেশ করতে না পারে এবং কেউ যেন বাইরে যেতে না পারে।
এছাড়া জনসমাগম কমাতে শহরে ছোট ছোট যানবাহন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।
“তবে ওষুধ, খাদ্য পণ্যবাহী যানবাহন, পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মী, সংবাদকর্মীরা এই ঘোষণার আওতার বাইরে থাকবে। এখন থেকেই টাঙ্গাইল জেলা অন্যান্য জেলা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল।”
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনস ছাড়া সকল হাটের অন্যন্য দোকানপাট বন্ধ থাকবে। অন্যদিকে জনগণকে কোনো কারণ ছাড়া ঘর থেকে বের হতে নিরুসাহিত করা হচ্ছে।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবার আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন এবং করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সংকট পরিস্থিতি মোকাবিলায় গ্রামে গ্রামে ত্রাণ বিতরণের পাশাপাশি সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুক, সদর আসনের সাংসদ ছানোয়ার হোসেন, ঘাটাইল শহীদ সালাউদ্দিন সেনানিবাসের লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ সোহেল রানা, পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ওয়াহীদুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোশারফ হোসেন খান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শহীদ উল্লাহ, পৌর মেয়র জামিলুর রহমান মিরন প্রমুখ।
সভায় সিভিল সার্জন অফিস থেকে জানানো হয়, টাঙ্গাইল জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির সন্ধান এখনও পাওয়া যায়নি। তবে মঙ্গলবার পর্যন্ত ৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এরমধ্যে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ২২ জনের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। তাদের কারও মধ্যেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
সিভিল সার্জন অফিস আরও জানায়, টাঙ্গাইলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন চার জন। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত মোট কোয়ারেন্টিনে থাকা মানুষের সংখ্যা ৬১। এছাড়া নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষ হওয়ায় ১৭২৯ জন হোম কোয়ারেন্টিন থেকে বের হয়েছেন। টাঙ্গাইলে মোট ১৩টি আইসোলেশন সেণ্টার খোলা হয়েছে।