মঙ্গলবার দুপুরে বাকেরগঞ্জ
উপজেলায় আরো চারটি এবং এর আগে সোমবার রাতে উজিরপুর উপজেলায় পাঁচটি বাড়ি লকডাউন করা
হয়।
বরিশালের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব আহমেদ জানান,
বাকেরগঞ্জ উপজেলার পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামে এক নারী শ্বাসকষ্ট,
জ্বর, সর্দি, কাশি, মাথা ও গলা ব্যথায় আক্রান্ত। এর সবগুলোই কোভিড-১৯ এর উপসর্গ।
“তাই নমুনা সংগ্রহের জন্য তাকে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
“পাশাপাশি সতর্কতা হিসেবে লকডাউন করা হয়েছে তার বাড়িসহ
আশেপাশের আরো তিনটি বাড়ি।”
উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণতি বিশ্বাস জানান,
উজিরপুর পৌর এলাকার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে এক ব্যবসায়ী বাড়িতে
অবস্থান করছিলেন। সোমবার রাতে ওই বাড়ি ছাড়াও আরো চারটি বাড়ি লকডাউন করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে তার নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো
হয়েছে। রিপোর্ট পেলে পরবর্তি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ইউএনও।
এর আগে শুক্রবার ভোররাতে জেলার গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া
ইউনিয়নের উত্তর বিল্লগ্রামে এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এরপর ওই গ্রামের ৬০টি
বাড়ি লকডাউন করা হয়।
এছাড়া সোমবার বিকেলে কোভিড ১৯ এর উপসর্গ নিয়ে বরিশাল
শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনাভাইরাস ইউনিটে মৃত্যু হয় ৫০ বছর বয়সী এক
ব্যক্তির। রাতেই সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের রাড়ীমহল গ্রামে ওই ব্যক্তির বাড়ি
লকডাউন করে জেলা প্রশাসন।