ক্যাটাগরি

শরীয়তপুর শহরে লোকসমাগম কমেনি

গত কয়েকদিনের মতো মঙ্গলবারও জেলা সদরের এই বাজারে সকাল থেকে লোকজনকে চলাফেরা করতে দেখা গেছে।

মঙ্গলবার সরেজমিন দেখা গেছে, জনসাধারন সামাজিক দূরত্ব মানছে না। প্রশাসনের লোকজন দেখলে দূরে সরে যায়, মুখে মাস্ক দেয়; তারা চলে গেলে আবার বাজারে ভিড় জমায়। অপ্রয়োজনের ঘোরাফেরা করে।  অনেকের কাছে মাস্ক নেই। কারো কারো মাস্ক আছে পকেটে কিংবা মুখের নিচে ঝুলিয়ে রাখা।

কয়েকদিন থেকে দেখা গেছে, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অনেক নারী-পুরুষ বাজারে ভিড় করে কেনাকাটা করছে।

সরকারি নির্দেশনায় সকাল থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত গ্রামাঞ্চলের দোকানপাট ও সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে সকল দোকানপাট বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে। শুধু ওষুধের দোকান ও হাসপাতাল খোলা থাকার কথা বলেছে।

আরও বলা হয়, অতীব প্রয়োজনে ঘরের বাইরে আসলে মাস্ক পরে বাইরে আসতে হবে। সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে হবে। অযথা বাইরে ঘোরাফেরা করা যাবে না।

শহরের নিরালা এলাকার মিলন খান বলেন, “এলাকার মানুষ সরকারি নির্দেশনা মানছে না। তারা অপ্রয়োজনে বাজারে ঘোরাফেরা করছে। তাদের মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে।”

পালং মডেল থানার ওসি আসলাম উদ্দিন বলেন, “পালং বাজারে লোক সমাগম বেশি। আমরা মানুষকে বার বার নিষেধ করার পরেও তারা কোনো কর্ণপাত করছে না। বিষয়টি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি।”

শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মাহবুব রহমান বলেন, “মানুষকে ঘরে থাকার জন্য ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। মানুষ নিজেরা সচেতন না হলে কী করার আছে!”

নড়িয়া থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, নড়িয়া উপজেলায় একজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করার পর এলাকায় দুটি গ্রাম, একটি বাজার ও দুই আত্মীয়ের বাড়ি লকডাউন করে রাখা হয়েছে। নড়িয়া উপজেলার সকল হাটবাজার অনির্র্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

হাফিজুর রহমান জানান, জেলা সদরে প্রশাসন ও আইনশৃংখলা বাহিনী বার বার এসে লোকজনদেরকে সচেতন করে সরিয়ে দিচ্ছে।