ক্যাটাগরি

সাড়ে সাত হাজার আইসোলেশন শয্যা প্রস্তুত: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

মঙ্গলবার নভেল করোনাভাইরাসের
সর্বশেষ পরিস্থিতি জানাতে অনলাইন ব্রিফিংয়ে যুক্ত হয়ে তিনি এ তথ্য জানান।

আবুল কালাম আজাদ জানান,
ঢাকা মহানগরীতে বিভিন্ন হাসপাতালে এক হাজার ৫০৫টি আইসোলেশন শয্যা এবং ৭৯টি আইসিইউ শয্যা
প্রস্তুত রয়েছে। এর বাইরে ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় ৬৯৭টি আইসোলেশন শয্যা রয়েছে।

এছাড়া চট্টগ্রামে ৮৪৮টি,
ময়মনসিংহে এক হাজার ৩০টি, বরিশালে ৫৪৫টি, সিলেটে ৩৪৬টি, রাজশাহীতে এক হাজার ২০০টি,
খুলনায় ৬৯০টি ও রংপুরে ৭৮৭টি আইসোলেশন শয্যা রয়েছে।

আর সারা দেশের আইসিইউ
শয্যার মধ্যে ময়মনসিংহে ২৬টি, সিলেটে দুটি ও খুলনায় পাঁচটি শয্যা রয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের
মহাপরিচালক বলেন, “আমরা সারা দেশে আইসোলেশন ও আইসিইউ বেড বাড়ানোর চেষ্টা করছি।”

রাজধানীর উত্তরার কুয়েত-বাংলাদেশ
মৈত্রী হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ও মহাখালীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার
ইনস্টিটিউট, ফুলবাড়িয়া এলাকার রেলওয়ে হাসপাতাল ও নয়াবাজারের মহানগর জেনারেল হাসপাতালও
কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।

রাজধানীর বাইরে চট্টগ্রামের
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিকাল অ্যান্ড ইনফেকসাস ডিজিজেস-বিআইটিএডিতেও করোনাভাইরাস
আক্রান্তদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ঢাকার আইইডিসিআর ছাড়াও
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল,
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, আইপিএইচ, আইসিডিডিআর,বি, আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব
প্যাথলজি, ঢাকা শিশু হাসপাতাল, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন ও বেসরকারি
প্রতিষ্ঠান আইদেশীতে কোভিড-১৯ শনাক্তের পরীক্ষা শুরু হয়েছে।

এছাড়াও চট্টগ্রামের
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিকাল অ্যান্ড ইনফেকসাস ডিজিজেস, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ
হাসপাতাল, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কক্সবাজার
মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সর্বশেষ মঙ্গলবার সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কোভিড-১৯
পরীক্ষা শুরু হয়েছে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে। 

চলতি এপ্রিলের মধ্যে
দেশের ২৮টি স্থানে কোভিড-১৯ পরীক্ষার ল্যাব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ চলছে বলে আবুল কালাম
আজাদ জানিয়েছেন।