সোমবার বাংলাদেশ সময় মধ্যরাতে যুক্তরাজ্যের সংবাদ মাধ্যমে এই খবর আসে।
ডাউনিং স্ট্রিটের একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে বিবিসির খবরে বলা হয়, চিকিৎসকদের পরামর্শেই প্রধানমন্ত্রী জনসনকে আইসিইউতে নেওয়া হয়েছে।
জনসন তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাবকে ‘প্রয়োজন অনুযায়ী’ সরকারপ্রধানের কাজ চালিয়ে যেতে বলেছেন।
৫৫ বছর বয়সী জনসনের দেহে গত মাসে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। তারপর থেকে তিনি ডাউনিং স্ট্রিটের বাসভবনেই আইসোলেশনে ছিলেন।
আক্রান্ত হওয়ার ১০ দিন পরও সুস্থতার লক্ষণ না দেখে রোববার রাতে ৫৫ বছর বয়সী জনসনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সোমবার রাতে তাকে আইসিইউতে নেওয়ার পর গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, “এটুকু জানা গেছে, তার চেতনা রয়েছে, তবে তার যদি ভেন্টিলেটরের প্রয়োজন দেখা দেয়, তা দেওয়ার জন্যই তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে।”
আর ডমিনিক রাব সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী সেইন্ট টমাস হাসপাতালে রয়েছেন, তার শুশ্রূষা ভালোই হচ্ছে।
করোনাভাইরাস মহামারীর কঠিন সময়ে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ আত্ম-নিয়ন্ত্রণ এবং দৃঢ়সংকল্প নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলার ডাক দেওয়ার মাত্র এক ঘণ্টা পর রোববার জনসনকে হাসপাতালে ভর্তি করার খবর আসে।
জনসনের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কথা রানিকে জানানো হয়েছে বলে বাকিংহাম প্রাসাদ জানিয়েছে। তবে এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করেনি তারা।
পরীক্ষায় তার দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে তা ২৭ মার্চ ঘোষণা করেছিলেন জনসন। তারপর থেকে ডাউনিং স্ট্রিটের একটি অ্যাপার্টমেন্টে আইসোলেশনে ছিলেন এবং শুক্রবারও শরীরে জ্বর থাকার কথা জানিয়েছিলেন তিনি।
৩ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলনে জনসন করোনাভাইরাস রোগীদের সঙ্গে হাত মেলানোর কথা জানিয়েছিলেন।