যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় আট শতাধিক মৃত্যু মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ৩৩৫ জনে নিয়ে গেছে। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ।
যুক্তরাষ্ট্রে মৃতের প্রায় ৪ হাজার ৭৫৮ জনই নিউ ইয়র্ক রাজ্যের; তার মধ্যে নিউ ইয়র্ক শহরের ৩ হাজার ৪৮ জন।
আগের দিন নিউ ইয়র্কে মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধির গতি কমে আসায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ‘সুড়ঙ্গের শেষ মাথায় আলো’ দেখার কথা বললেও দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান বলছেন, এই সপ্তাহটি দেশের জন্য ‘সবচাইতে কঠিন ও বেদনাদায়ক’ সপ্তাহ হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তদের মধ্যে ১ লাখ ২২ হাজারই নিউ ইয়র্ক রাজ্যের। তবে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির হার স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো।
তবে তিনি বলেছেন, “এই অবস্থা আশাব্যঞ্জক হলেও পরিস্থিতি নির্ভর করছে সংক্রমণ এড়াতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কাজটি কত ভালোভাবে আমরা করতে পারি, তার উপর।”
লুইজিয়ানায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত গুরুতর রোগীর সংখ্যা ৩৮ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ। এদিন রাজ্যটিতে ৫১২ জন করোনাভাইরাস রোগী পাওয়া গেছে এবং ১৪ হাজার ৮৬৭ জনের করোনাভাইরাস পজিটিভ ধরা পড়েছে।
পেনসিলভানিয়া রাজ্যের কর্মকর্তারা প্রায় ১৩ হাজার কোভিড-১৯ আক্রান্ত পাওয়ার কথা জানিয়েছেন। রাজ্যটির স্বাস্থ্য বিভাগের হিসাবে ১২ হাজার ৯৮০ জনের দেহে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
ফ্লোরিডায় সোমবার ১৩ হাজার ৩২৪ জনের করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৫৯২ জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছে ফ্লোরিডার স্বাস্থ্য বিভাগ।
জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, সোমবার রাত নাগাদ বিশ্বে নভেল করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭২ হাজার দাঁড়িয়েছে, আর আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৩ লাখ ৯ হাজার জন।
আক্রান্তের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষে থাকলেও মৃতের সংখ্যায় এখনও এগিয়ে আছে ইতালি, দেশটিতে ১৬ হাজার ৫২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে কোভিড-১৯ রোগে। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩২ হাজার ৫৪৭ জন।
আক্রান্তের সংখ্যায় ইতালির উপরে রয়েছে স্পেন, দেশটিতে আক্রান্ত এখন ১ লাখ ৩৫ হাজার জন। স্পেনে মৃত্যু ঘটেছে ১৩ হাজার ১৬৯ জনের।
স্পেন ও ইতালিতে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি দেখা গেলেও গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৩৩ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে ফ্রান্সে; দেশটিতে করোনাভাইরাসে একদিনে এত মৃত্যু আর হয়নি।
ফ্রান্সে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৭৮ জন; দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৯৩ হাজার ৭৮৫ জন।
ইউরোপে ফ্রান্সের চেয়ে আক্রান্তের সংখ্যা জার্মানিতে বেশি হলেও দেশটিতে মারা গেছে ১ হাজার ৬১২ জন।
চতুর্থ দেশ হিসেবে আক্রান্তের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে জার্মানিতে, দেশটিতে কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা এখন ১ লাখ ১ হাজার ১৭৮ জন।
এশিয়ায় জাপানের টোকিওতে হঠাৎ করে রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় দেশটির সরকার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে যাচ্ছে। জাপানে আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ৩ হাজার ছাড়িয়েছে, মারা গেছে ৮৫ জন।
ইন্দোনেশিয়ায় ২০৯ জনের মৃত্যু হয়েছে কোভিড-১৯ রোগে, যা চীনের পর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সর্বোচ্চ। দেশটির বেশ কয়েকজন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী মারা গেছেন করোনাভাইরাস সংক্রমণে। ইন্দোনেশিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় আড়াই হাজার জন।
দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতে একদিনেই ৭০৯ জনের দেহে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ায় মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৪ হাজার ছাড়িয়েছে। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১১১ জন।
পাকিস্তানে সাড়ে ৩ হাজারের বেশি আক্রান্তের মধ্যে ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে।