মঙ্গলবার দুপুরে নিয়মিত
অনলাইন ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ এ কথা জানান।
তিনি বলেন, “নীতিনির্ধারণী
মহল, সংবাদকর্মী সকলের সাথে আলোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এটাকে মিডিয়া ব্রিফিং
হিসেবে প্রচার না করে আমরা দৈনন্দিন স্বাস্থ্য বুলেটিন হিসেবে প্রচার করব।
“আমরা এখানে চেষ্টা
করব, কি (মূল) ইনফরমেশনগুলো আমরা বুলেটিনের মাধ্যমে শেয়ার করব। পরবর্তীতে আমরা যে সংবাদ
বিজ্ঞপ্তি দেই, সে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আমরা বিস্তারিত বিভিন্ন তথ্য দেব। আমাদের যে সহকর্মী
আছেন তাদের সাথে আলাপ করেও পরবর্তীতে জানতে পারবেন।”
“এর ফলে এই যে আমরা
আপনাদের অবহিত করছি, বুলেটিনের মাধ্যমে। এর পরে আলোচনা ও প্রশ্নোত্তর এটা আর হবে না,”
বলেন আবুল কালাম আজাদ।
সরকারের রোগতত্ত্ব,
রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-আইইডিসিআরের পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা নভেল
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সর্বশেষ পরিসংখ্যান তুলে ধরার পর এদিন সংবাদ সংযোগ
বিচ্ছিন্ন করে দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
গত সোমবার দুপুরে একটি
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আগেভাগেই নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর
সর্বশেষ পরিসংখ্যান তুলে ধরার পর সেই তথ্য পরে সংশোধন করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টার
মৃত্যুর পরিসংখ্যান জানাতে গিয়ে মন্ত্রী সেদিন ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে জানালেও আইইডিসিআরের
পরিচালক জানান, প্রকৃতপক্ষে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সমন্বয়হীনতার প্রশ্নে সাংবাদিকরা স্বাস্থ্য
অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে ছেঁকে ধরেন সোমবার। পরে আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছিলেন, স্বাস্থ্য
অধিদপ্তর স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে যে তথ্য দিয়েছিলেন, তাতে গড়মিল রয়েছে।
তথ্যের গড়মিলে সংবাদ
সম্মেলনে সমালোচনার মুখে পড়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তার একদিন পরেই এল এমন সিদ্ধান্ত।
এদিন আবুল কালাম আজাদ
আরও জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সর্বশেষ পরিস্থিতি জানাতে নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিং
বেলা ২টার পরিবর্তে বেলা আড়াইটায় করবে।
গত ৮ মার্চ দেশে নভেল
করোনাভাইরাসের সংক্রমন নিয়ে নিয়মিত ব্রিফিং করছিল আইইডিসিআর। পরে তা স্থানান্তরিত করা
হয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে। ব্রিফিংয়ে যুক্ত হন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন
সিস্টেম শাখার প্রধান হাবিবুর রহমান।
গত ২ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর
নির্দেশনা ভুলভাবে উপস্থাপন করার পর নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তথ্য উপস্থাপনের কাজ থেকে তাকে
বিরত রাখে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ৩ এপ্রিল থেকে যুক্ত হন মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ।