অর্থাৎ এই জেলা থেকে কেউ এখন আর বের হতে পারবেন না, কেউ যেতেও পারবেন না। জেলার বাসিন্দাদের থাকতে হবে ঘরের ভেতরে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) মঙ্গলবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে ৮ এপ্রিল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলাকে সম্পূর্ণরূপে অবরুদ্ধ (লকডাউন) ঘোষণা করা হল।”
করোনাভাইরাসের মহামারী ঠেকাতে বেসামরিক প্রশাসনের সহায়তায় সশস্ত্র বাহিনী কাজ করছে।
আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বেসামরিক প্রশাসন, সশস্ত্র বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে সম্মিলিতভাবে দায়িত্ব পালন করবে।
জরুরি পরিষেবা যেমন চিকিৎসা, খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ ইত্যাদি লকডাউনের আওতাবহির্ভূত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
করোনাভাইরাস এখন ১৫ জেলায়, ঢাকাসহ চার এলাকায় ‘ক্লাস্টার’
করোনাভাইরাসে নারায়ণগঞ্জে মৃত্যু বেড়ে চার
নারায়ণগঞ্জে আইভীর কারফিউ দাবির পর কড়া অবস্থানে প্রশাসন
নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগ বন্ধ ঘোষণা
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম রোগী পাওয়া গিয়েছিল নারায়ণগঞ্জেই; এখন ঢাকার পর নারায়ণগঞ্জেই রোগীর সংখ্যা বেশি।
সীমিত এলাকায় বেশি রোগী পাওয়ার ঘটনা যে স্থানগুলোতে ঘটছে, তার মধ্যে নারায়ণগঞ্জে সেই ক্লাস্টার পাওয়ার কথা আগেই জানিয়েছিল আইইডিসিআর।
পরিস্থিতি দেখে নারায়ণগঞ্জ সিটি মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী কারফিউ জারি করতেও সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন।
এরপর লকডাউনের মধ্যে প্রশাসন কড়াকড়িও বাড়িয়েছিল।
তার মধ্যেও গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে যে নতুন ৪১ রোগী শনাক্ত হয়েছিল, তার মধ্যে ১৫ জনই নারায়ণগঞ্জের। এরপরই পূর্ণ লকডডাউন করা হল জেলাটিকে।
দেশে এই পর্যন্ত যে ১৭ জন কোভিড-১৯ রোগী মারা গেছে, তার চারজন নারায়ণগঞ্জের।