নগরীর পতেঙ্গা এলাকা থেকে মো. রুবেল (৩৪)
নামের এ আসামিকে সোমবার রাতে গ্রেপ্তার করে আদালতের মধ্যেমে কারাগারে পাঠিয়েছে বাকলিয়া
থানা পুলিশ।
রুবেলের বাসা বাকলিয়া থানার তুলাতলী হাফেজ
নগরে। বর্তমানে সে পেশায় ট্রাকচালক।
পুলিশ জানায়, একটি হত্যা মামলায় ২০১৫ সালে
রুবেলের বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় হলেও রুবেল উচ্চ আদালতে আপিল করেননি। পাশাপাশি তার পরোয়ানা
থানায় না আসায় সে স্বাভাবিকভাবে ঘুরে বেড়িয়েছে।
২০০৮ সালের ৩ মে রুবেল ও তার পাঁচ সহযোগী
চালককে হত্যা করে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ছিনতাই করেন এবং চালকের লাশ বোয়ালখালী
থানা এলাকায় ফেলে দেন। পরে সাতকানিয়া উপজেলায় তার এক সহযোগী ছিনতাই করা অটোরিকশাসহ
গ্রেপ্তার হন।
এ ঘটনায় বোয়ালখালী থানায় হওয়া মামলা তদন্ত
করে ছয়জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।
২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর আদালত রুবেলসহ চারজনকে
মৃত্যুদণ্ড ও দুই জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫০ টাকা করে অর্থদণ্ড দেয়।
রায় ঘোষণার সময় কাউসার নামের তাদের এক সহযোগী
ছাড়া বাকিরা পলাতক ছিলেন।
বাকলিয়া থানার ওসি নেজাম উদ্দিন বিডিনিউজ
টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, “ঘটনার পরপর গ্রেপ্তার হয়ে রুবেল ১৮ মাস কারাগারে ছিল এবং
২০০৯ সালের শেষ দিকে জামিনে বের হয়ে পালিয়ে যায়।
“২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর আদালতের রায়ে সাতদিনের
মধ্যে দণ্ডিতদের উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা বলা হলেও সে করেনি।”
ওসি নেজাম উদ্দিন বলেন, “২০১৫ সালে রুবেলের
ফাঁসির আদেশ হলেও তার পরোয়ানা আমাদের থানায় আসেনি। সে সুযোগ নিয়ে রুবেল বিভিন্ন সময়ে
বাসায় যাতায়াত করতেন। আমরা স্থানীয়দের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির
প্রকাশ্যে ঘোরাফেরার তথ্য পেলেও তাকে প্রমাণের অভাবে ধরতে পারছিলাম না।”
প্রায় ছয় মাস ধরে অনুসন্ধান করা হয়েছে জানিয়ে
ওসি বলেন, “বিষয়টি আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তাদের পরামর্শে আদালতের
বিচারকদের সাথেও কথা বলেছি। তারা আমাকে রুবেলকে গ্রেপ্তারে কোনো নিষেধ নেই বলে জানিয়েছেন।”
বিভিন্নভাবে অনুসন্ধান করে রুবেলের অবস্থান
নিশ্চিত হয়ে সোমবার রাতে পতেঙ্গা এলাকা থেকে রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং মঙ্গলবার
তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় বলে জানান ওসি নেজাম।