তাদের মধ্যে একজন কিশোর আর দুইজন বৃদ্ধ। সবার বাড়ি ফরিদপুরে।
মানিকগঞ্জের সিভিল সার্জন আনোয়ারুল আমিন আখন্দ মঙ্গলবার দুপুরে
জানান, তাবলিগ জামাতের ১৩ সদস্যের একটি দল গত ২৪ মার্চ ফরিদুপুর থেকে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর
পৌর এলাকার একটি মাদ্রাসায় আসেন। তাদের মধ্যে ৬০ বছর বয়সী একজনের শরীরে করোনাভাইরাসের
উপসর্গ দেখা দিলে ঢাকার আইইডিসিআর থেকে পরীক্ষা করা হয়। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত
বলে শনিবার প্রতিবেদন আসে।
এ ঘটনায় তাবলিগ জামাতের ওই দলটি এবং স্থানীয় আরও ১০ জনকে হোম
কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। এছাড়া লক ডাউন ঘোষণা করা হয় সিঙ্গাইর পৌর এলাকা।
সিভিল সার্জন বলেন, পরে আইইডিসিআরের প্রতিনিধি দল এসে তাবলিগ
জামাতের অন্য সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করেন। পরীক্ষায় তাবলিগ জামাতের আরও তিনজনের শরীরে
করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে।
প্রথম শনাক্ত হওয়া আক্রান্ত ব্যক্তিকে আইইডিসিআরের তত্ত্বাবধানে
আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
সর্বশেষ শনাক্ত হওয়া তিনজনকে সিঙ্গাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে
আইসোলেশনে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন আনোয়ারুল আমিন আখন্দ।
তাবলিগ জামাতের আরও ৫৪ জনসহ তাদের তিন সহযোগীকেও মানিকগঞ্জে
কোয়ারেন্টিনে রেখেছে প্রশাসন। তাদের রাখা হয়েছে মানিকগঞ্জ পৌর এলাকায় আঞ্চলিক জনসংখা
ইনস্টিটিউটে।
এছাড়া সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক নারী স্বাস্থ্যকর্মী
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এদিকে সিঙ্গাইর থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাড়িতে ফেরার
পর করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে এক কৃষিশ্রমিক মারা গেছেন। তিনি সিঙ্গাইরে ধান কাটার
কাজে গিয়েছিলেন।