ক্যাটাগরি

যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক রাজ্যে করোনাভাইরাসের প্রকোপে কৃষ্ণাঙ্গরা

ইলিনয়, মিশিগান,পেনসিলভানিয়া, লুইজিয়ানা, উইসকনসিনে উদ্বেগজনকহারে কৃষ্ণাঙ্গরা আক্রান্ত হচ্ছে এবং মারাও যাচ্ছে।

ইলিনয়ের শিকাগো স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের দেওয়া পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, শিকাগো শহরে যত মানুষ করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছে তার অর্ধেকই কৃষ্ণাঙ্গ।আর সেখানে ৭২ শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গই মারা গেছে।

গত ৫ এপ্রিলের হিসাব অনুযায়ী, শিকাগোয় করোনাভাইরাস আক্রান্ত মোট ৪ হাজার ৬৮০ জনের মধ্যে ১ হাজার ৮২৪ জনই কৃষ্ণাঙ্গ অধিবাসী। যেখানে শ্বেতাঙ্গ আক্রান্তের সংখ্যা ৮৪৭, হিসপ্যানিক, ৪৭৮ এবং ১২৬ জন এশিয়ান আমেরিকান।

শিকাগোর জনসংখ্যার হিসাবে কৃষ্ণাঙ্গরা মাত্র ৩০ শতাংশ হওয়ার পরও দেখা গেছে এ ভয়াবহ চিত্র। শ্বেতাঙ্গ আমেরিকানদের চেয়ে করোনাভাইরাসে কৃষ্ণাঙ্গরা প্রায় ছয়গুণ বেশি হারে মরছে।

শ্বেতাঙ্গ-কৃষ্নাঙ্গর মধ্যে দশকের পর দশকের অসমতা এবং বর্ণবাদ কৃষ্ণাঙ্গ জনগোষ্ঠীর ওপর কেমন বিরূপ প্রভাব ফেলছে কোভিড-১৯ এর এ পরিসংখ্যান থেকেই তা স্পষ্ট।

শিকাগো ছাড়াও মিশিগানের ডেট্রয়েট, লুইজিয়ানার নিউ অরলিন্স,উইসকনসিনের মিলওয়াউকি কাউন্টির মতো কয়েকটি বড় শহরে কৃষ্ণাঙ্গ মৃত্যুর হার উদ্বেগজনক।

মিলওয়াউকিতে মোট মানুষের মৃত্যুর ৮১ শতাংশই কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকান এবং মোট আক্রান্তের অর্ধেক এই কৃষ্ণাঙ্গরাই। এ কাউন্টিতে জনসংখ্যার মাত্র ২৬ শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গ অধিবাসী।

আবার ডেট্রয়েট শহরে বেশির ভাগই আফ্রিকান-আমেরিকানদের বাস। তাই সেখানে কৃষ্ণাঙ্গ মৃত্যুর হারও বেশি।

পেনসিলভানিয়ার সবচেয়ে বড় শহর ফিলাডেলফিয়ায় প্রথম দিকে শ্বেতাঙ্গরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেও এখন কৃষ্ণাঙ্গরাই বেশি আক্রান্ত হতে শুরু করেছে।শহরটিতে কৃষ্ণাঙ্গ-শ্বেতাঙ্গর মধ্যে যে অসমতা বিরাজ করছে তাতে পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মিশিগানে গত শুক্রবার পর্যন্ত মোট আক্রান্তের ৩৫ শতাংশ ছিল কৃষ্ণাঙ্গ এবং মারা যাওয়াদের ৪০ শতাংশই ছিল কালোরা। মিশিগানে জনসংখ্যার মাত্র ১৪ শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গ জনগোষ্ঠী।

অন্যদিকে, লুইজিয়ানায় প্রায় ৭০ শতাংশ আফ্রিকান-আমেরিকান মারা গেছে বলে সোমবার জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। এ রাজ্যে জনসংখ্যার মাত্র এক-তৃতীয়াংশ কৃষ্ণাঙ্গ।