সোমবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে লেখা এক চিঠিতে প্রিন্স
চার্লস বলেন, “আপনার অত্যন্ত সদয় উদ্বেগের পত্রটি এবং এই প্রাণঘাতী ভাইরাস থেকে আমার
আরোগ্য কামনায় আপনার শুভেচ্ছা আমাকে দারুণভাবে স্পর্শ করেছে।”
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, চিঠিতে প্রিন্স
চার্লস প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন যে তিনি এখন ‘অনেক ভালো’ আছেন।
চার্লস লিখেছেন, “আমি এখন অনেক ভালো আছি এবং আমি জানি আপনি
কতটা ব্যস্ত। এই ব্যস্ততার মধ্যেও চিঠি লেখার জন্য আমি আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ।”
করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
নেওয়া পদক্ষেপের প্রশংসাও যুবরাজ চার্লস করেন বলে প্রেস সচিব জানান।
প্রিন্স চার্লস লিখেছেন, “আমি এটা শুনে সবচেয়ে বেশি
অভিভূত হয়েছি যে, আপনি এই মারাত্মক রোগের প্রাদুর্ভাবে প্রাথমিক পর্যায়ে কিভাবে সংক্রমণ
আটকে রাখতে সক্ষম হয়েছেন এবং মৃত্যুর সংখ্যাটিও আটকে রেখেছেন।”
এই সঙ্কটময় সময়ে যুক্তরাজ্যে ব্রিটিশ-এশীয় প্রবাসীরা একে
অন্যের সঙ্গে মিলে কীভাবে একসঙ্গে কাজ করছেন, তাও বলেন প্রিন্স চার্লস।
তিনি বলেন, “ব্রিটিশ-এশীয়দের মধ্যে অনেকেই কোভিড-১৯ সংকট
মোকাবেলায় জাতীয় স্বাস্থ্য সেবাতে (ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস) কাজ করছেন। তারা একে অপরকে
এবং বৃহত্তর সম্প্রদায়কে বিশেষ করে ধর্মীয়ভাবে বিশ্বাসী মন্দির, মসজিদ এবং গুরুদুয়ারা
সমন্বিতভাবে চেষ্টা করছেন।’
জলবায়ূ পরিবর্তন ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে
কাজ করার গভীর আগ্রহ প্রকাশ করে প্রিন্স চার্লস বলেন, “আমি প্রার্থনা করি যে এই
বিশ্বসঙ্কট চলে গেলে আমরা জৈব অর্থনীতির বলয় তৈরির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার
মতো জরুরি কাজে আমাদের অঙ্গীকার নতুন করে এগিয়ে নিয়ে যাব, যা প্রকৃতি ও কমিউনিটিগুলোকে
এর কেন্দ্রে নিয়ে আসবে এবং পৃথিবীতে একটি নিরাপদ স্থান হিসেবে গড়ে তোলায় সক্ষম হবে।”
গত
২৮ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক চিঠিতে প্রিন্স চার্লস কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত হওয়ায়
গভীর সহমর্মিতা প্রকাশ করেছিলেন।
চিঠিতে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নভেল করোনাভাইরাসের বিস্তার এবং এর পরবর্তী পরিস্থিতি রোধের
লড়াইয়ে বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যের প্রবাসীদের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন।
শেখ
হাসিনা তার চিঠিতে প্রিন্স চার্লসকে বাংলাদেশ কোভিড-১৯ ভাইরাস পরিস্থিতি এবং প্রাণঘাতী
এই ভাইরাস থেকে বাংলাদেশের জনগণকে রক্ষায় নেওয়া প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার কথাও জানিয়েছিলেন।