ক্যাটাগরি

শ্রমিকদের বেতন দিতে ২০ এপ্রিলের মধ্যে এমএফএস হিসাব খোলার নির্দেশ

সোমবার এক সার্কুলার জারির মাধ্যমে দেশের সব মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানকে এ নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো সার্কুলারে কারখানার মালিক-শ্রমিক সকল পক্ষের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণের মাধ্যমে এই হিসাব খুলতে বলা হয়েছে।

নভেল করোনাভাইরাসের বিশ্ব সঙ্কটে বিপর্যয়ের মুখে পড়া রপ্তানিমুখী খাতের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দিতে সরকার পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা তহবিল গঠন করেছে।

প্রণোদনা তহবিলের নীতিমালায় বলা হয়েছে, যেসব কারখানা শ্রমিকদের বেতন-ভাতা নিয়মিত পরিশোধ করছেন, তারাই এই তহবিলের অর্থ পাওয়ার জন্য বিবেচিত হবে।

এই তহবিল থেকে ২ শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়া হবে রপ্তানিমুখী শিল্পগুলোকে। তবে সময় মতো কিস্তির অর্থ পরিশোধ না করলে বকেয়া কিস্তির উপর দণ্ড সুধ আরোপ হবে।

বৈশ্বিক মহামারী রূপ নেওয়া নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাংলাদেশেও দেখা দেওয়ার পর এর বিস্তার রোধের পদক্ষেপে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সীমিত হয়ে পড়ায় গত ২৫ মার্চ জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রপ্তানিমুখী শিল্পের জন্য এই ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা তহবিল ঘোষণা করেন।

বাংলাদেশে রপ্তানি খাতের অগ্রগণ্য তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য এই অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।

‘সচল রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদানের জন্য এমএফএস হিসাব খোলা প্রসঙ্গে’ শীর্ষক সোমবারের সার্কুলারে বলা হয়েছে, নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষাপটে সচল রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদি প্রদানের জন্য সরকার ঘোষিত আর্থিক প্রণোদনা সরাসরি শ্রমিক-কর্মচারীদের ব্যাংক বা এমএফএস হিসাবের মাধ্যমে প্রদানের জন্য চারটি নির্দেশনা প্রদান করা হলো-

>> সকল পক্ষের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণের মাধ্যমে সচল রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদান নিশ্চিত করতে এমএফএস হিসাব খোলার কার্যক্রম আগামী ২০ এপ্রিলের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।

>> শ্রমিক-কর্মচারীদের এনআইডি/ জন্ম নিবন্ধন সনদের ভিত্তিতে এমএফএস হিসাব খোলা যাবে।

>> এই হিসাব খোলার ক্ষেত্রে কোন ধরণের চার্জ/ফি গ্রহণ করা যাবে না।

>>  প্রতিষ্ঠানগুলো এই হিসাব খোলার উদ্দেশ্যে গ্রাহকদের সচেতন ও উৎসাহিত করতে প্রচারণাসহ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহন করবে।

অনেক পোশাক কারখানার শ্রমিকরা অবশ্য মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশের মাধ্যমে বেতন-ভাতা পান। বিকাশের সঙ্গে এ সংক্রান্ত চুক্তির মাধ্যমে কারখানার মালিকরা শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দিয়ে থাকেন।