তিনি লন্ডনের সেইন্ট টমাস হাসপাতালে চিকিৎসকদের ‘নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন’ বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর।
আইসিউতে থাকা জনসনের অবস্থা স্থিতিশীল এবং তার মনোবল চাঙ্গা আছে বলে বুধবার যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এডওয়ার্ড আর্গারের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বিবিসি।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে দেশটিতে এরই মধ্যে ৬ হাজার ১০০র বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে, আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫৬ হাজার ছুঁই ছুঁই করছে।
পরিস্থিতি মোকাবেলায় যুক্তরাজ্য সহসা লকডাউন তুলছে না বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন আর্গার।
“লকডাউন সংক্রান্ত নির্দেশনা পরিবর্তন করার আগে আমাদের আক্রান্তের সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছাতে হবে। কবে সেখানে পৌঁছাবো তা এখনই বলা যাচ্ছে না,” বলেছেন তিনি।
এর আগে মঙ্গলবার ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডোমিনিক রাব জনসনকে ‘যোদ্ধা’ অ্যাখ্যা দিয়ে তার দ্রুত সুস্থতার ব্যাপারে আশাবাদ জানিয়েছিলেন। জনসনের অনুপস্থিতিতে রাবই এখন সরকারের জরুরি কাজগুলো চালিয়ে নিচ্ছেন।
ডাউনিং স্ট্রিটে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে দেওয়া ব্রিফিংয়ে ব্রিটিশ এ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, হাসপাতালে থাকা জনসনকে প্রয়োজনমতো অক্সিজেন দেওয়া হয়েছে; প্রধানমন্ত্রী এখন ভেন্টিলেটর কিংবা যে কোনো ধরনের যন্ত্রের সাহায্য ছাড়াই নির্বিঘ্নে শ্বাস নিতে পারছেন।
মার্চের শেষদিকে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর ডাউনিং স্ট্রিটেই আইসোলেশনে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী জনসন। ১০ দিন পরও জ্বর, কাশিসহ উপসর্গগুলো না কমায় চিকিৎসকদের পরামর্শে রোববার তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরের ২৪ ঘণ্টায় অবস্থার অবনতি হলে স্থানান্তর করা হয় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ।
ভেন্টিলেটরের প্রয়োজন পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে যেন দেওয়া যায় তা নিশ্চিত করতেই জনসনকে আইসিইউতে নেওয়া হয়েছে বলে ভাষ্য ব্রিটিশ সরকারের মুখপাত্রের।
“তিনি (জনসন) কেবল আমাদের প্রধানমন্ত্রী বা বস নন, তিনি আমাদের সহকর্মী ও বন্ধু। প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের জন্য আমরা সবাই প্রার্থনা করছি। আমার বিশ্বাস, তিনি তাড়াতাড়ি সেরে উঠবেন। আমি জানি, তিনি একজন যোদ্ধা,” ব্রিফিংয়ে বলেন রাব।
রানি এলিজাবেথ ও রাজপরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্যরাও জনসনের পরিবারের সদস্য এবং তার বাগদত্তা ক্যারি সাইমন্ডসকে দেওয়া বার্তায় প্রধানমন্ত্রীর দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন বলে ডাউনিং স্ট্রিট জানিয়েছে।