বুধবার
চীনের স্টেট কাউন্সিলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-এর সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এ কে আব্দুল মোমেনের টেলিফোন আলাপে তা নিয়ে আলোচনা হয়।
পররাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়ে বলা হয়, চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এবং বাংলাদেশকে পূর্ণ সহায়তার নিশ্চয়তা দিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে
বলা হয়, “করোনাভাইরাস চিকিৎসা কেন্দ্র হিসাবে ঘোষিত শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রো-লিভার ইনস্টিটিউট
ও হাসপাতালকে সহযোগিতার জন্য চীন থেকে বিশেষজ্ঞ টেকনিশিয়ান দল আনার সম্ভাবনার কথা চীনা
পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন।”
একইসঙ্গে
করোনাভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে এবং বাংলাদেশের মেডিকেলকর্মীদের প্রশিক্ষণে চীন
থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স ও টেকনিশিয়ান আনার সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা করেন তিনি।
২০০০০ টেস্ট কিট-পিপিই এল চীন থেকে
বিশ্বে
মহামারী রূপ নেওয়া নভেল করোনাভাইরাস চার মাস আগে চীন থেকেই ছড়িয়েছিল। তবে দেশটিতে পরিস্থিতি
এখন নিয়ন্ত্রণে।
বিজ্ঞপ্তিতে
বলা হয়, দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আলাপে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের অতি সংক্রমণ হলে চীন
থেকে ভেন্টিলেশনের যন্ত্রপাতি আমদানির সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চীনের সরবরাহকারীদের পক্ষে ব্যাক টু ব্যাক এলসি খোলার ক্ষেত্রে পেমেন্ট ডিফারাল
এক বছরের জন্য বিবেচনা করতে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন বাংলাদেশের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
৪৫ মিনিটের
ওই টেলিফোন আলাপে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়েও দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলোচনা করেছেন
বলেও উল্লেখ করা হয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।