শনাক্ত করার পাশাপাশি কোথা থেকে তিনি সংক্রমিত হয়েছেন সেটা বের করাও এ
রোগ প্রতিরোধের জন্য জরুরি। তাই চিকিৎসকরা সে বিষয়েও খোঁজ খবর নিয়ে থাকেন।
টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ওয়াহীদুজ্জামান বলেন, টাঙ্গাইলের
মির্জাপুর উপজলার এক মধ্য বয়সী ব্যক্তির করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার রিপোর্ট হাতে
পৌঁছেছে।
“আক্রান্ত ওই ব্যাক্তি গত তিনদিন আগে নারায়ণগঞ্জ থেকে অসুস্থ হয়ে বাড়ি
আসেন।”
চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া এ কভিড-১৯ রোগ বেশ কিছুদিন আগেই বিশ্বে মহামারী
আকার ধারণ করেছে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশেও এ রোগ দিন দিন বিস্তার লাভ করছে।
মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশে ১৬৪ জন এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে এবং তাদের মধ্যে ১৭
মারাও গেছেন।
ঢাকার পর নারায়ণগঞ্জেই সব চেয়ে
বেশি আক্রান্ত পাওয়া গেছে। এরই মধ্যে সে জেলায় চারজন এ রোগে মারা গেছেন বলে রোগ
তত্ত্ব বিভাগ জানিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ওই জেলাকে ‘সম্পূর্ণ লকডাউন’ ঘোষণাও করা হয়েছে।

টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন জানান, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন উপজেলায়
৭৭ জনকে নমুনা সংগ্রহ করে পাঠালো হয়েছে। এদের মধ্যে ৫০ জনের ফলাফল পাওয়া গেছে। তার
মধ্যে ৪৯ ফলাফল নেগেটিভ আসলেও একজনের পজেটিভ এসেছে।
মঙ্গলবার পর্যন্ত ৬১ জন হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, “জেলায় ১২টি আইসোলেশন সেন্টারে ১৩৮টি সিট শূন্য রয়েছে। তবে
পাঁচজন ভর্তি হলেও তাদেরকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
“প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে করোনাভাইরাস শনাক্তের জন্য নমুনা
সংগ্রহ করা হচ্ছে।”
এদিকে এ জেলার আতঙ্কিত সাধারণ মানুষরা নিজের নিজের পাড়া মহল্লায় ‘লকডাউন’
লিখে টাঙিয়ে দিতে দেখা গেছে। কোথাও বা গাছের গুড়ি ফেলে পথ আটকে দেওয়া হয়েছে যাতে লোকজন
চলাচল করতে না পারে।