কেউ বলেছিলেন ‘ভোরের কুয়াশা’, তুলনা করেছিলেন মাকড়সার জালের সঙ্গে। বাংলার মসলিন এতই সূক্ষ্ম ও মিহি ছিল যে কারও কাছে এ কাপড়কে মনে হতো ‘বোনা বাতাস’।
এই মসলিন হতো ঢাকা ও তার চারপাশের এলাকাগুলোতে, যা জয় করেছিল পুরো পৃথিবী। জানা মতে, এই গল্পের শুরু প্রায় দেড় হাজার বছর আগে। বাংলার তাঁতিরা কী করে এত সূক্ষ্ম কাপড় তৈরি করতেন তা আজও বিস্ময়ের। একটি আস্ত মসলিন শাড়ি নাকি এঁটে যেত ছোট্ট একটি দেশলাই বাক্সে, বা চলে যেতে পারত একটি আংটির ভেতর দিয়ে!
মসলিনের আরও কিংবদন্তি মানুষের মুখে মুখে ফেরে। তার কিছুটা হয়তো সত্য, কিছুটা কল্পনায় তৈরি। কোথায় কীভাবে তৈরি হতো আমাদের মসলিন? বিশ্বের কোন কোন প্রান্তে গিয়ে মানুষের মন জয় করেছিল? ২০০ বছর আগে এটি হারিয়েই বা গেল কেন? এসব গল্পই বলা আছে প্রণব ভৌমিকের ‘মসলিনের গল্প শোনো’ বইটিতে।
মসলিনকে আবার ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন আমাদের দেশেরই কিছু মানুষ। সেখানে কিছু সফলতা এসেছে, সেই সাফল্যগাথাও থাকছে।
বইটির শুরুতে শিশু-কিশোর পাঠকদের উদ্দেশ্যে প্রণব ভৌমিক লিখেছেন, তোমাদের মতো মসলিন নিয়ে ছোটবেলায় আমারও অনেক কৌতূহল ছিল। কী বিস্ময়কর এই মসলিন। এর গল্প শুনেছি অনেক, কল্পনা করেছি। ছিল একটা আফসোসও, মসলিন হারিয়ে গেছে বলে। ‘বড়’ হতে হতে শিশুমনের কৌতূহল চাপাও পড়ে গেল।
কিন্তু ঢাকায় যখন একটি মসলিন উৎসব হলো, তখন আবার মসলিন সম্পর্কে আগ্রহী হয়ে উঠলাম। পেশাগত কারণে কিছু কাজও করতে হলো। কিন্তু এটি নিয়ে একটি আস্ত বই লিখে ফেলব, এমনটা কখনোই ভাবিনি।
বইটি লিখতে গিয়ে দুটো বইয়ের প্রচুর সাহায্য নিয়েছি। একটি হলো অধ্যাপক আবদুল করিমের ‘ঢাকাই মসলিন’। অন্যটি সাইফুল ইসলামের ‘মসলিন: আওয়ার স্টোরি’। তোমরা একটু বড় হলে এ দুটো বইও পড়ে ফেলো। আরও অনেক তথ্য জানতে পাবে।
কিডস পাতায় বড়দের সঙ্গে শিশু-কিশোররাও লিখতে পারো। নিজের লেখা ছড়া-কবিতা, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনী, মজার অভিজ্ঞতা, আঁকা ছবি,সম্প্রতি পড়া কোনো বই, বিজ্ঞান, চলচ্চিত্র, খেলাধুলা ও নিজ স্কুল-কলেজের সাংস্কৃতিক খবর যতো ইচ্ছে পাঠাও। ঠিকানা kidz@bdnews24.com। সঙ্গে নিজের নাম-ঠিকানা ও ছবি দিতে ভুলো না! |