ক্যাটাগরি

করোনাভাইরাস: জনসনের চিকিৎসায় সাড়া মিলছে

‘নিবিড় পর্যবেক্ষণের জন্য’ জনসনকে লন্ডনের সেইন্ট টমাস হাসপাতালে রাখা হয়েছে এবং তিনি শারীরিকভাবে স্থিতিশীল অবস্থায় আছেন, তার দাপ্তরিক মুখপাত্রের বরাতে জানিয়েছে বিবিসি।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ১০ ডাউনিং স্ট্রিট জানিয়েছে, কাজ না করলেও তিনি প্রয়োজন অনুযায়ী সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।

করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার ১০ দিন পরও কাশি ও জ্বর অব্যাহত থাকায় ব্যাক্তিগত চিকিৎসকের পরামর্শে রোববার জনসনকে সেইন্ট টমাস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে নেওয়ার আগে তাকে অক্সিজেন দেওয়া হয়। 

তাকে নিয়মিত অক্সিজেন থেরাপি দেওয়ায় বুধবার তিনি ‘ভাল অবস্থায়’ ছিলেন বলে ডাউনিং স্ট্রিট জানিয়েছে। কোনো যন্ত্রপাতির সাহায্য ছাড়াই তিনি নিঃশ্বাস নিতে পারছেন বলে জানিয়েছে তারা।

ব্রিটিশ রানি ও রাজপরিবারের অন্যান্য জ্যেষ্ঠ সদস্যরা জনসনের পরিবার ও তার গর্ভবর্তী বাগদত্তা ক্যারি সিমন্ডসের কাছে বার্তা পাঠিয়ে তারা তাদের কথা ভাবছেন ও প্রধানমন্ত্রীর দ্রুত পূর্ণ আরোগ্য কামনা করছেন বলে জানিয়েছেন।

জনসনের হয়ে দায়িত্বপালন করে যাওয়া ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোমিনিক রাব মঙ্গলবার জনসনকে একজন ‘যোদ্ধা’ অভিহিত করে তিনি দ্রুত রোগমুক্ত হবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন।         

ব্রিটিশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, যুক্তরাজ্যের হাসপাতালগুলোতে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা একদিনে ৯৩৮ জন বেড়েছে, এদের নিয়ে দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাত হাজার ৯৭ জনে।

আগামী সোমবার, ১৩ এপ্রিল যুক্তরাজ্যজুড়ে জারি করা লকডাউনের ২১ দিন মেয়াদ পূর্ণ হবে, তারপর লকডাউনের নিয়মকানুন পুনর্বিবেচনা করা হবে বলে ১০ ডাউনিং স্ট্রিট জানিয়েছে। কিন্তু ‘সঙ্কটজনক সময়ে’ জনগণকে বিধিনিষেধ ‘মেনে চলতে’ হবে বলে সতর্ক করেছে। 

করোনাভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে ২৩ মার্চ দুই জনের বেশি লোকের সমাবেশ নিষিদ্ধ করাসহ জরুরি নয় এমন পণ্যের দোকান বন্ধ রাখার মতো বেশ কিছু কঠোর বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছিলেন জনসন।

ব্রিটিশ সরকারের করোনাভাইরাস আইনানুযায়ী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী অন্তত প্রতি ২১ দিনের মধ্যে একবার বিধিনিষেধের প্রয়োজনীয়তা পর্যালোচনা করে দেখবেন। আগামী ১৬ এপ্রিল প্রথম এ পর্যালোচনা করার কথা রয়েছে।

লকডাউনের বিধিনিষেধ পর্যালোচনার বিষয়ে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী এডওয়ার্ড আরগার বলেছেন, “আক্রান্তের সংখ্যা সর্বোচ্চ চূড়া পার হওয়ার পর পরিবর্তনের বিষয়টি চিন্তা করতে পারবো আমরা, তবে ওই চূড়ায় কখন পৌঁছাবো তা বলার সময় এখনও হয়নি।”