বৃহস্পতিবার স্থানীয় সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন নিজস্ব অর্থায়নে এক হাজার ৪০০ শ্রমিকের হাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এই খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন।
এ
সময় সাংসদ শ্রমিকদের বলেন, “আর কয়েকটা দিন আপনারা ঘরে থাকুন, সচেতন থাকুন। আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা আপনার ঘরে খাবার পৌঁছে দিবে।
সরকার যেভাবে সচেতন থাকতে বলেছেন সেভাবে কয়েকটা দিন থাকলে করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পাব।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ মোতাবেক সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান
আফিল।
শার্শা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল হক মঞ্জু ও সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান, জেলা পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল, ওহিদুজ্জামান অহিদ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান, ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন ওউপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুর রহিম সরদার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বেনাপোল স্থলবন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন ৮৯১-এর সভাপতি কলিম উল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, অনেক শ্রমিকের ঘরেই হাহাকার চলছিল। সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগে শ্রমিকদের ভাগ্যে কোনো খাদ্যসামগ্রী জোটেনি। এই খাদ্য সহায়তা পেয়ে তারা খুশি।
বেনাপোল স্থলবন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন-৯২৫ এর সভাপতি রাজু আহম্মেদ রাজু বলেন, ২৬ মার্চ থেকে ৪ সরকারি ছুটির কারণে বন্দরের সকল কাজকর্ম বন্ধ রয়েছে। বন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিকরা মাসে তিন থেকে চার হাজার টাকা বেতন পান।
তারা ‘নো ওয়ার্ক নো পে’- ভিত্তিতে দৈনিক মুজুরি পেয়ে থাকেন।এক নাগাড়ে এরকম বন্ধের কারনে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছিল।