এ মাসে ২৯তম স্প্যানও বসছে
পদ্মা সেতুর ২৮তম স্প্যান বসছে আজ শনিবার। এর মধ্য দিয়ে সেতুটির আরেক ধাপ নির্মাণকাজ এগিয়ে যাবে। গতকাল শুক্রবার সকালে ‘৪বি’ নম্বর স্প্যানটি মাওয়ার কুমারভোগ ইয়ার্ড থেকে নিয়ে রওনা হয় ভ্রাম্যমাণ ক্রেনবাহী জাহাজ ‘তিয়ান ই’। প্রায় ৩২০০ টন ওজনের ১৫০ মিটার দীর্ঘ এই স্প্যান তুলে নিয়ে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নোঙর করেছে। গতকাল রাতে বাংলাদেশ পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী (সেতু) দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের এ তথ্য জানান। এ স্প্যানটি বসার পর বাকি থাকছে মাত্র ১৩টি স্প্যান। সংশোধিত সিডিউল অনুযায়ী আগামী নভেম্বরের মধ্যে সব স্প্যান বসে যাওয়ার কথা আছে।
মো. আব্দুল কাদের বলেন, শনিবার সকাল ১০টার দিকে স্প্যানটি মাওয়ার সীমান্তবর্তী এবং সেতুটির মাঝামাঝি সেতুর ২০ ও ২১ নম্বর খুঁটিতে বসে যাওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে লিফটিং ফ্রেম (স্প্যানকে ঝুলন্ত রাখার যন্ত্র) সেট করা হয়ে গেছে আগেই। খুঁটির ওপর সেট করা হয়ে গেছে বেয়ারিং। তিনি জানান, ‘এই স্প্যান বসে গেলে জাজিরার অংশে আর মাত্র দুইটি স্প্যান বাকি থাকবে। ২৫, ২৬ ও ২৭ নম্বর খুঁটিতে ‘৫এ’ ও ‘৫বি’ নম্বর স্প্যান বাকি থাকবে। এই অংশটিতে ফেরি চলাচলের চ্যানেল থাকায় বিলম্ব হয়। সর্বশেষ ২৬ নম্বর খুঁটি সম্পন্ন হওয়ায় এখানেও শিগগির স্প্যান বসবে। মরণব্যাধি করোনা যেন এখানে বাঁধ সাধতে পারেনি। তাই করোনার মধ্যেই গত ২৮ মার্চ সেতুর ২৭তম স্প্যান খুঁটিতে উঠেছে। এরপর ৩১ মার্চ ২৬ নম্বর খুঁটি বসানোর মধ্য দিয়ে সেতুর সব খুঁটি সম্পন্ন হয়ে গেছে। ভিত সম্পন্ন হয়ে যাওয়ায় স্বপ্নের পদ্মা সেতু বাস্তবায়নে বড়ো ধাপটি এগিয়ে গেল। এছাড়া চলতি মাসেই ২৯তম স্প্যানও বসে যাওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া বসে যাওয়া স্প্যানগুলোতে হরদম কাজ চলছে। এখানে এখনো দেশি-বিদেশি প্রায় আড়াই হাজার কর্মী কাজ করছে। সেতুর ৪১টি স্প্যানের মধ্যে ৩৯টি স্প্যান এখন মাওয়ায়। যার ২৭টি স্প্যান খুঁটির ওপর বসে গেছে। অপর দুইটি স্প্যান চীন থেকে চলতি ২০ এপ্রিল রওনা হওয়ার কথা রয়েছে। এদিকে দুই প্রান্তের সংযোগ সেতুর কাজও এগিয়ে চলছে। মাওয়া প্রান্তে এরই মধ্যে ১১টি সুপার টিগার্ডার স্থাপন হয়েছে। মাওয়া প্রান্তে এই সুপার টিগার্ডার বসবে ২০৪টি। ওদিকে জাজিরা প্রান্তে ২৩৪ সুপার টিগার্ডারের ১১১টি স্থাপন হয়েছে।
ইত্তেফাক/কেকে