শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিও) ভ্যাকসিনটির জরুরি ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার পর এ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
টিকা বিতরণের তদারকির দায়িত্বে থাকা যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর জেনারেল গুস্তাফ পেরনা জানিয়েছেন, রোববার টিকার প্রথম ২৯ লাখ ডোজ ‘সবগুলো রাজ্যে’ পাঠানো শুরু হবে।
ফাইজার-বায়োএনটেকের এ টিকাটি কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে ৯৫ শতাংশ সুরক্ষা দিতে সক্ষম বলে দাবি করা হয়েছে এবং এফডিএ এটিকে নিরাপদ বলে ছাড়পত্র দিয়েছে।
স্বাস্থ্যসেবা কর্মীরা ও দীর্ঘ মেয়াদি সেবা সদনগুলোতে থাকা বয়স্ক লোকজন চলতি মাসে প্রথম চালানের ২৯ লাখ ডোজ টিকার প্রথম প্রাপক হবেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের টিকা দান কর্মসূচি ‘অপারেশন ওয়ার্প স্পিড’ নিয়ে কথা বলার সময় জেনারেল পেরনা জানান, সোমবার থেকেই স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের টিকা দেওয়া শুরু হবে এবং সেবা সদনগুলোতে থাকা বয়স্কদের চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে দেওয়া হবে।
কয়েক মাস ধরে প্রস্তুতি নিলেও প্রায় ৩৩ কোটি প্রাপকের কাছে টিকা পৌঁছানো ও সেটির প্রয়োগ একটি বিশাল ‘লজিস্টিক চ্যালেঞ্জ’ বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি আরও জানান, টিকা সরবরাহের সময় এর সুরক্ষার জন্য অনেক দিকে নজর দিতে হয় এবং মাইনাস ৭০ সেলসিয়াস তামপাত্রায় টিকা সংরক্ষণ করতে হয়।
“আমাদের করার মতো অনেক কাজ আছে। আমরা বিজয় উদযাপন করতে যাচ্ছি না। আমাদের সামনের পথ কঠিন হতে পারে, এটা জানি আমরা,” বলেছেন পেরনা।
“সোমবার দেশের ১৪৫টি নির্দিষ্ট স্থানে টিকা পৌঁছে যাবে বলে আশা করছি, মঙ্গলবার আরও ৪২৫ জায়গায় এবং বুধবার শেষ ৬৬টি জায়গায় পৌঁছোবে,” বলেছেন তিনি।
এর মাধ্যমে ফাইজার-বায়োএনটেক টিকার প্রথম চালানের বিতরণ সম্পূর্ণ হবে এবং প্রায় ৩০ লাখ লোক এর আওতায় আসবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
‘শত্রু কোভিডকে পরাজিত করার জন্য প্রয়োজনীয়’ এই ডোজগুলো নিরাপদে সরবরাহ করা যাবে, এ বিষয়ে তিনি ‘শতাভাগ আত্মবিশ্বাসী’ বলে জানিয়েছেন জেনারেল পেরনা।
শনিবার যুক্তরাষ্ট্রে কোভিডজনিত তিন হাজার ৩০৯টি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এই সংখ্যাটি বিশ্বের সবগুলো দেশের মধ্যে এক দিনে সর্বাধিক মৃত্যুর ঘটনা।
নভেম্বরের মাস থেকে যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসজনিত মৃত্যু ফের দ্রুত বাড়তে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন:
করোনাভাইরাস: ব্রিটিশ দাদী পেলেন ফাইজারের প্রথম টিকা