‘দ্য অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপিটাল টেরিটরি’ (এসিটি) সিডনির বাসিন্দাদের দেওয়া এক কঠোর বর্তায় বলেছে, ‘আমাদের এখানে এসো না’। যদি তারা আসে তবে অবশ্যই ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
এসিটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বলা হয়, ‘‘যদি আপনি এসিটি-র বাসিন্দা না হন এবং যদি বৃহত্তর সিডনিতে বসবাস করেন…তবে আপনার প্রতি আমাদের বার্তা খুবই সাধারণ: এসিটি ভ্রমণে আসবেন না।”
ভিক্টোরিয়া ও কুইন্সল্যান্ড রাজ্য এবং নর্দান টেরিটোরি সোমবার থেকে সিডনি থেকে মানুষের যাতায়াতের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
এজন্য কুইন্সল্যান্ড পুলিশ নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের সীমান্তে চেকপোস্ট বসাতে চলেছে। সিডনি নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের রাজধানী।
সাউথ অস্ট্রেলিয়া রাজ্য রোববার থেকে সিডনি থেকে আসা সব মানুষের উপর ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক করেছে। আর সিডনির যে এলাকায় নতুন ক্লাস্টারটি দেখা দিয়েছে সেখানকার মানুষের উপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।
দ্বীপরাজ্য তাসমানিয়া শনিবার থেকে একই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছ। ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া নিজেদের সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে।
সিডনি ছাড়া নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের অন্যান্য অঞ্চলের বাসিন্দাদের ভ্রমণের জন্য এখন বাড়তি কাগজ দেখাতে হবে। যেখানে লেখা থাকতে হবে তারা নতুন করে আক্রান্ত এলাকায় বসবাস করেন না।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ বেশ সফলভাবেই সামলে উঠেছিল অস্ট্রেলিয়া। গত বুধবারের আগের দুই সপ্তাহে দেশটিতে স্থানীয়ভাবে মাত্র একজন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল। ফলে পুরো দেশ স্বাভাবিকভাবে বড়দিন ও নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর উৎসব উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
কিন্তু গোল বাধে সিডনি নর্দান বিচেস অঞ্চলে। গত বুধবার থেকে শনিবার পর্যন্ত সেখানে প্রায় ৭০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। তারা কিভাবে সংক্রমিত হয়েছেন তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সেখানে বড়দিনের আগের দিন পর্যন্ত কঠোর লকডাউন জারি করা হয়েছে এবং লোকজনকে নিজ বাড়ি বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
সেখানকার বাসিন্দা এক অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘‘যদি আমরা এখানে বসে লকডাউন পালন করি এবং এই সংক্রমণ থেকে মুক্তি পাই তবে সেটা দারুণ হবে। কারণ, অন্য সবাই তখন মুক্ত থাকবেন।”
‘‘কিন্তু যদি এটা ছড়িয়ে যায় তবে আমরা সবাই এর মধ্যে পড়ে যাব।”
রোগের বিস্তার ঠেকাতে এরই মধ্যে সিডনিতে নানা কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।