শনিবার এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছেন এক অ্যাপল মুখপাত্র। তবে, যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাপল বিক্রয়কেন্দ্র বন্ধের ঘোষণা এসেছে একদিন আগে, শুক্রবার। এ সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়েছে অ্যাপলের শেয়ারদরেও। বাজার বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরও শেয়ারদর কমেছে আইফোন নির্মাতার।
“বর্তমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতির মুখে আমরা যেসব কমিউনিটিতে সেবা দেই, তার কিছু অংশে সাময়িকভাবে বিক্রয়কেন্দ্র বন্ধ রাখছি। আমরা পরিস্থিতি কাছ থেকে নজরে রেখে সতর্কতামূলকভাবে এ পদক্ষেপ নিচ্ছি, এবং আমরা আমাদের টিম ও ভোক্তাকে যত দ্রুত সম্ভব ফিরিয়ে আনার আশা করছি।” – এক ইমেইল বিবৃতিতে লিখেছেন অ্যাপল মুখপাত্র।
এর মধ্যেই যারা অনলাইনে পণ্য কিনেছেন, তারা আগামী কয়েকদিন অ্যাপল বিক্রয়কেন্দ্র থেকে পণ্য নেওয়ার সুযোগ পাবেন। অ্যাপল ফের কবে বিক্রয়কেন্দ্র খুলবে, সে ব্যাপারটি উল্লেখ করেননি মুখপাত্র।
যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়ছে। শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই সংক্রমিতের সংখ্যা এক কোটি ৭৪ লাখ, আর মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় তিন লাখ ১৪ হাজার।
শনিবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ইংল্যান্ডের এক কোটি ৬০ লাখেরও বেশি মানুষের উপর কার্যকরী লকডাউন প্রয়োগের ঘোষণা দিয়েছেন। যুক্তরাজ্যের অন্যান্য অংশও নানাবিধ ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে উঠে এসেছে রয়টার্সের প্রতিবেদনে।
জনসন জানিয়েছেন, লন্ডন এবং দক্ষিণপূর্ব লন্ডনে নতুন টিয়ার ৪ মাত্রার লকডাউন দেওয়া হবে এবং ওই অঞ্চলের মানুষকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। সেখানে ‘জরুরীভিত্তিতে প্রয়োজনীয় নয়’ এমন বিক্রয়কেন্দ্র এবং অবসর ও বিনোদনের ইনডোর কর্মকাণ্ডও বন্ধ থাকবে।