আগামী বছরের ২৬ জানুয়ারি প্রস্তাবিত মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হবে। হাসপাতালের কাজ শুরু হবে দ্বিতীয় পর্যায়ে।
শনিবার প্রকাশিত নকশায় নতুন মসজিদটি পাশ্চাত্য স্থাপত্যের আদলে নির্মিত হচ্ছে বলে দেখা গেছে।
এতে বিশালাকার গম্বুজ আর মসজিদ চত্বরে কার পার্কিংয়েরও ব্যবস্থা থাকছে বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার।
কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের ভেঙে ফেলা বাবরি মসজিদের জায়গায় রামমন্দির নির্মাণে গত বছর ভারতের সুপ্রিম কোর্ট সায় দিয়েছিল; মসজিদের জন্য অন্যত্র পাঁচ একর জমি দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছিল তারা।
সে অনুযায়ী সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে লখনৌ-গোরক্ষপুর মহাসড়কের কাছে ধানিপুরে জমি দেওয়া হয়। ওয়াকফ বোর্ড পরে ওই জমিতে মসজিদসহ অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণে আইআইসিএফ গঠন করে।
চলতি বছর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অযোধ্যায় বাবরি মসজিদের জায়গায় মহাসমারোহে নতুন রামমন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেও মসজিদ নির্মাণে কী হল, সে সম্বন্ধে কোনো সাড়াশব্দ শোনা যাচ্ছিল না। শনিবার আইআইসিএফের দেওয়া নকশা সে নীরবতা ভাঙল।
আনন্দবাজার বলছে, মসজিদের পাশাপাশি যে হাসপাতালটির নকশা প্রকাশ হয়েছে, তার কাছে শহরের ঝাঁ-চকচকে ভবনগুলোও হার মানতে বাধ্য।
হাসপাতাল আর মসজিদের পাশাপাশি পাঁচ একর জমির মধ্যেই একটি কমিউনিটি কিচেন ও গ্রন্থাগার থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্পের প্রধান স্থপতি এসএম আখতার।
কমিউনিটি কিচেনে দুঃস্থদের দুই বেলা খাওয়ানো হবে।
“হাসপাতালে ৩০০ শয্যার হবে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের আনা হবে। মসজিদটি সৌরশক্তিচালিত হবে। মসজিদের ভিতরের তাপমাত্রা বাড়ানো-কমানোর ব্যবস্থা থাকবে,” বলেছেন তিনি।