কাম্প নউয়ে শনিবার
লা লিগার ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়। শিরোপা পুনরুদ্ধারের মিশনে ১৩ ম্যাচের সাতটিতেই
পয়েন্ট হারালো বার্সেলোনা। এক ম্যাচ কম খেলে শীর্ষে থাকা আতলেতিকো মাদ্রিদের চেয়ে ৮
পয়েন্ট পিছিয়ে কাতালান দলটি।
কর্নারে হেডে ভালেন্সিয়াকে
এগিয়ে নেওয়ার সময় মুকতার দিয়াখাবি ছিলেন অরক্ষিত। এরপর লিওনেল মেসির গোলে বার্সেলোনা
সমতায় ফেরার পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে রোনালদ আরাহোর গোলে এগিয়ে গিয়েছিল তারা। মাক্সি
গোমেসের সমতাসূচক শেষ গোলেও বার্সেলোনার রক্ষণে অভিজ্ঞতার ঘাটতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
খেলায় মনোযোগ ধরে
রাখতে না পারায় ম্যাচ শেষে হতাশা প্রকাশ করেন কুমান।
“এটা ছিল কঠিন একটা ম্যাচ। আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছিলাম, কিন্তু
এরপর আমাদের আরও মনোযোগী হওয়া দরকার ছিল।”
“কিছু সুযোগ পেয়েছিলাম আমরা, কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলোয়
আমরা লক্ষ্যচ্যূত হয়ে পড়েছিলাম। বিরতির পর আমরা জয় নিশ্চিত করে ফেলতে পারতাম, কিন্তু
খুব বেশি সুযোগ আমরা তৈরি করতে পারিনি।”
বার্সেলোনার বিপক্ষে মুকতার দিয়াখাবির হেডে এগিয়ে যায় ভালেন্সিয়া।
এ মাসের শুরুতে
কাদিসের মাঠে ২-১ গোলে হারের মাচেও মনোযোগ হারানোয় খেলোয়াড়দের কড়া সমালোচনা করেছিলেন
কুমান। আবারও তার পুনরাবৃত্তিতে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ এই ডাচ কোচ। সঙ্গে প্রতিপক্ষের
খেলোয়াড়দের চেয়ে নিজেদের উচ্চতা কিছুটা কম হওয়ার ঘাটতি পূরণে রক্ষণে আরও জমাট হওয়ার
বিকল্প দেখছেন না তিনি।
“প্রতিপক্ষের লম্বা খেলোয়াড়দের সামলাতে আমাদের কতজন লম্বা
খেলোয়াড় আছে, তা বুঝতে হবে। লাফিয়ে গোল করার সময় সে (দিয়াখাবি) ছিল একা। রক্ষণে আমাদের
আরও ভালো করতে হবে এবং প্রতিপক্ষকে আরও ভালোভাবে মার্ক করতে হবে। অধিকাংশ দলের খেলোয়াড়দের
চেয়ে আমরা তুলনামূলক খাটো এবং সেট পিসে আমাদের সমস্যা হচ্ছে।”
“আমারদের পারফরম্যান্সে ধারাবাহিকতা ছিল না। ২-১ গোলে
এগিয়ে থাকার সময়ও আমরা আক্রমণ করছিলাম, তখন রক্ষণের বিষয়টিও মাথায় রাখা উচিত ছিল। বিপজ্জনক
জায়গায় আমরা বল হারিয়েছি।”
দায়িত্ব পাওয়ার
পর ভবিষ্যৎ
ভাবনায় শুরু থেকেই তরুণদের সুযোগ দিচ্ছেন কুমান। তারওপর জেরার্দ পিকে লম্বা সময়ের জন্য
ছিটকে পড়ায় বার্সেলোনার রক্ষণে এমনিতেই বড় শূন্যতা তৈরি হয়েছে। সব মিলে দলটিতে অভিজ্ঞতার
ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এটাও ছন্দ হারানোর অন্যতম বড় কারণ বলে মনে করেন তিনি।
“খেলোয়াড়দের বয়সেরও একটা প্রভাব থাকে…তরুণ খেলোয়াড়দের আরও
পরিণত হতে হবে।”
ফুটবল বোদ্ধাদের
অনেকে শিরোপা লড়াইয়ে বার্সেলোনার সম্ভাবনার শেষ দেখতে শুরু করেছেন। তবে কুমান এখনই
আশা ছাড়ছেন না।
“শিরোপা জয়ের আশা এখনও ছেড়ে দেইনি আমরা। এখনও অনেক পয়েন্টের
খেলা বাকি। মৌসুমটা খুব কঠিন, দুই মাসেই সবকিছু বদলে যেতে পারে।”
১২ ম্যাচে ৯ জয়
ও দুই ড্রয়ে আতলেতিকোর পয়েন্ট ২৯। ছয় জয় ও তিন ড্রয়ে ২১ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে বার্সেলোনা।
আগামী মঙ্গলবার তাদের প্রতিপক্ষ রিয়াল ভাইয়াদলিদ।