ক্যাটাগরি

কোভিড-১৯: দেশে শনাক্ত রোগী ছাড়াল ৫ লাখ

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১ হাজার ১৫৩ রোগী শনাক্ত হয়েছে দেশে; তাতে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা পৌঁছেছে ৫ লাখ ৭১৩ জনে।

আর গত এক দিনে এ ভাইরাসে আরও ৩৮ জনের মৃত্যু হওয়ায় মৃতের মোট সংখ্যা পৌছছে ৭ হাজার ২৮০ জনে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১ হাজার ৯২৬ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৩৭ হাজার ৫২৭ জন হয়েছে।

গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে প্রথম রোগী শনাক্ত হয়, তিন মাস পর ১৮ জুন তা ১ লাখ ছাড়িয়ে যায়।

এর ঠিক এক মাস পর ১৮ জুলাই শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় ২ লাখে। এর পরের এক লাখ রোগী শনাক্ত হয় এক মাস নয় দিনে, ২৬ অগাস্ট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছাড়ায় তিন লাখ।

শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৪ লাখ ছাড়িয়ে যায় এর দুই মাস পর, ২৬ অক্টোবর। তা পাঁচ লাখে পৌঁছাতে সময় লাগল ৫৫ দিন।

এর মধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।

প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ১২ ডিসেম্বর তা সাড়ে ৭ হাজার ছাড়িয়ে যায়।

এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।

জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তালিকায় শনাক্ত রোগীর দিক দিয়ে বিশ্বে ২৭তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৩তম অবস্থানে।

বিশ্বে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ৭ কোটি ৬৩ লাখ পেরিয়েছে; মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ১৬ লাখ ৮৬ হাজার।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১৩টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ১৮টি জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ও ২৯টি র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাবে অর্থাৎ সর্বমোট ১৬০টি ল্যাবে ১৩ হাজার ৩১৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৩০ লাখ ৭৫ হাজার ৬৮০টি নমুনা।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৪ লাখ ৫০ হাজার ৫০৯ টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ৬ লাখ ২৫ হাজার ১৭১টি।

২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৮ দশমিক ৬৬ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ২৮ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ।

 

গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৩০ জন পুরুষ আর নারী ৮ জন। তাদের প্রত্যেকেই হাসপাতালে মারা গেছেন।

তাদের মধ্যে ২২ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ৯ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৪ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এবং ১ জন করে মোট ৩ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ও ১০ বছরের কম ছিল।

মৃতদের মধ্যে ২২ জন ঢাকা বিভাগের, ৮ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৩ জন সিলেট বিভাগের, ২ জন রাজশাহী বিভাগের এবং ১ জন করে মোট ৩ জন বরিশাল, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৭ হাজার ২৮০ জনের মধ্যে ৫ হাজার ৫৫২ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ৭২৮ জন নারী।

তাদের মধ্যে ৩ হাজার ৯৪৮ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়াও ১ হাজার ৮৬১ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৮৫৬ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৩৬৮ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৫৮ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৫৫ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৪ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।

এর মধ্যে ৩ হাজার ৯৮১ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ৩৫১ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪২৮ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫১৬ জন খুলনা বিভাগের, ২৩২ জন বরিশাল বিভাগের, ২৮৬ জন সিলেট বিভাগের, ৩২৭ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৫৯ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।