রোববার এক লিখিত প্রতিক্রিয়ায় সংগঠনটির সভাপতি রুবানা হক বলেন, গত ১৭ ডিসেম্বর ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ‘তৈরি পোশাকখাতে করোনাভাইরাস উদ্ভুত সংকট সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তাকে গবেষণা প্রতিবেদন হিসেবে দাবি করা হলেও এটি গবেষণার ন্যূনতম মানদণ্ড ও ন্যায়নীতি অনুসরণ করে করা হয়েছে বলে প্রতিয়মান হয় না। বরং এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে টিআইবি তার নিজ সুনাম ক্ষুন্ন করেছে এবং গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
“শিল্পকে ঘিরে এহেন নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি কোনো শুভ ইঙ্গিত বহন করে না। এ সব কর্মকাণ্ডের পেছনে কোনো দূরভিসন্ধি আছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন।”
পোশাক খাত নিয়ে টিআইবির ২৮ পৃষ্ঠার গবেষণা প্রতিবেদনে কর্মী ছাঁটাই, কম বেতন দেওয়া, মহামারীর সময়ে অপরিকল্পিতভাবে কারখানা চালু রাখাসহ বিভিন্ন অনিয়মের বিষয় উঠে আসে।
গুণগত গবেষনায় তথ্য সূত্র ও তথ্য নির্বাচন, তথ্যের বিশ্লেষণে গবেষকের পক্ষপাতিত্ব করা হয়েছে অভিযোগ করে বিজিএমইএর প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যেসব উৎস হতে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে তা পুন:মূল্যায়ন হয়নি বরং এসব উৎস হতে প্রাপ্ত তথ্য কতটা সম্পূর্ণ, হালনাগাদ, সঠিক ও পক্ষপাতহীন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলার যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে।
মহামারীতে শ্রম আইনের সুবিধা নিয়েছে মালিকপক্ষ: টিআইবি
“সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটিতে অস্পষ্টতার ছাপ স্পষ্টভাবে লক্ষনীয় যেখানে ‘প্রায়’, ‘অধিকাংশ’, ‘অনেক ক্ষেত্রে’, ‘কিছু কিছু ক্ষেত্রে’ ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে, যা পরিমাপ যোগ্য নয় এবং বিষয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর ধারণা দেয়। লে-অফ, ছাঁটাই, মজুরি না দেওয়া, স্বাস্থ্য-সুরক্ষা গাইডলাইন অমান্য, ইত্যাদি গুরুতর অভিযোগের ক্ষেত্রে এধ রনের অস্পষ্ট ও ঢালাও অভিযোগ এবং অপবাদ গবেষণার শিষ্টাচার লঙ্ঘন করে।”
গবেষণায় কিছু গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দেওয়া হয়েছে এবং অনেক প্রতিবেদন এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে বলে বিজিএমইএ অভিযোগ করেছে।
এছাড়া লে-অফ, বেতন-ভাতা, প্রণোদনার হার ও পরিমাণ, ইইউ ও জার্মানির ফান্ড বিতরণে অবহেলা, স্বচ্ছতা সংক্রান্ত বিষয়ে টিআইবির অভিযোগের সমালোচনাও করেছে বিজিএমইএ।