ক্যাটাগরি

ঢাবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে শুধু নীল দলই থাকল

তফসিল অনুযায়ী রোববার রাত ৮টায় নির্বাচন পরিচালক অধ্যাপক জাকির হোসেন ভূঁইয়া প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেন। এতে নীল দল ছাড়া অন্য কোনো দল মনোনয়নপত্র জমা দেয়নি।

নীল প্যানেলে সভাপতি পদে অধ্যাপক মো. রহমত উল্লাহ, সহ-সভাপতি পদে অধ্যাপক সাবিতা রেজওয়ানা চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ পদে অধ্যাপক ড. মো. আকরাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক পদে অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া এবং যুগ্ম-সম্পাদক পদে অধ্যাপক মো. আব্দুর রহিম রয়েছেন।

এছাড়া ১০টি সদস্য পদে রয়েছেন অধ্যাপক জিয়া রহমান, অধ্যাপক সাদেকা হালিম, অধ্যাপক এজেএম শফিউল আলম ভুইয়া, অধ্যাপক ইসতিয়াক মঈন সৈয়দ, অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম, অধ্যাপক আমজাদ আলী, অধ্যাপক চন্দ্রনাথ পোদ্দার, অধ্যাপক আবু সারা শামসুর রউফ, অধ্যাপক মুহাম্মদ আব্দুল মঈন এবং অধ্যাপক নিসার হোসেন।

আর কোনো প্রার্থী না থাকায় সোমবার বিকেল ৪টায় আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হবে বলে জানান অধ্যাপক জাকির হোসেন ভূঁইয়া।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তফসিল অনুযায়ী নীল দল ছাড়া অন্য কোনো দল মনোনয়নপত্র জমা দেয়নি। নীল দলের যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন, তারা কেউই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। আজকে প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

“যেহেতু অন্য কোনো দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে না, সেহেতু ৩০ ডিসেম্বর আর নির্বাচনের প্রয়োজন হচ্ছে না। নির্বাচনের প্রক্রিয়া অনুযায়ী নীল দলের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হবেন। আগামীকাল বিকেল চারটায় আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে।”

প্রতি বছরই ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে এক বছর মেয়াদী শিক্ষক সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। নির্বাচনে প্রধানত আওয়ামী লীগ সমর্থক শিক্ষকদের সংগঠন নীল দল এবং বিএনপি-জামায়াত সমর্থক শিক্ষকদের সাদা দলের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাম শিক্ষকদের সংগঠন গোলাপি দলও নির্বাচনে অংশ নেয়।

তবে এবছর নির্বাচনে অংশ নিতে মনোননয়নপত্র সংগ্রহ করেনি সাদা কিংবা গোলাপি দল।

গত ৭ ডিসেম্বর শিক্ষক সমিতির নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হলে মহামারীর মধ্যে তা স্থগিত রেখে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়েছিল সাদা দল।

পরে ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র জমা না দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ওবায়দুল ইসলাম নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার ঘোষণা দেন।