দলের
দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী
রোববার বলেছেন, “উনারা জবাব দিয়েছেন। ঊর্ধ্বতন
নেতৃবৃন্দ আছেন, এটা নিয়ে তারা পরে সিদ্ধান্ত নেবেন, দল সিদ্ধান্ত নেবে।”
বিএনপির
স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেছেন, বিষয়টি ‘স্পর্শকাতর’। ভাইস
চেয়ারম্যান পদের কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হলে স্থায়ী
কমিটির বৈঠকে আলোচনা হওয়ার কথা।
শনিবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের
সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির বৈঠক হলেও সেখানে বিষয়টি আলোচনায় উঠেনি বলে ওই
বিএনপি নেতা জানিয়েছেন।
দলীয়
শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে গত ১৪ ডিসেম্বর বিএনপির দুই ভাইস চেয়ারম্যান
অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমদ ও শওকত মাহমুদকে কারণ দর্শাও নোটিস দেয় বিএনপি।
এরপর গত ১৫ ডিসেম্বর শওকত মাহমুদ এবং শনিবার হাফিজ উদ্দিন আহমদ নয়া পল্টনে দলের
কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দপ্তরে তাদের
জবাব দেন।
হাফিজ
তার পাঁচ পৃষ্ঠার জবাবটি স্থায়ী কমিটির বৈঠকে উপস্থাপনের অনুরোধ জানিয়েছেন বিএনপি নেতৃত্বের কাছে। তার বিরুদ্ধে যে ১১টি অভিযোগ আনা হয়েছে, সেগুলো ‘সঠিক নয়’ দাবি
করে সেগুলো খণ্ডন করেছেন তিনি।
অন্যদিকে
শওকত মাহমুদ তার এক পৃষ্ঠার জবাবে বলেছেন, ‘জ্ঞাতসারে’ দলের শৃঙ্খলা পরিপন্থি কোনো কাজ তিনি ‘করেননি’।
তাদের
জবাব ইমেইল করে লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত
চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে পাঠানো হয়েছে বলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বিডিনিউজ
টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
আরেকজন জ্যেষ্ঠ নেতা
বলেছেন, দুই ভাইস চেয়ারম্যানকে শোকজ করায় দলের
নেতা-কর্মীদের ভেতরে ‘বিরূপ
প্রতিক্রিয়ার’ সৃষ্টি হয়েছে।
“আমার কাছে তথ্য আছে, দলের স্থায়ী কমিটির অনেক সদস্যই
এরকম অ্যাকশনের কথা শুনে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। এটা দলের ঐক্যে ফাটল সৃষ্টি করেছে।”
নীলফামারীর
ডিমলা থেকে ঢাকার যুবদল কার্যালয়ে আসা তৃণমূলের কর্মী আসাদুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে
বলেন, “উনারা বড় নেতা। তাদের টক শো শুনে আমরা যারা মফস্বলে
থাকি, উজ্জীবিত হই। এই ধরনের নেতা যারা কিনা বিএনপির পক্ষে
সবসময় সরব থাকেন, তাদেরকে কেন এভাবে শোকজ করে অপমানিত করা
হবে?”
ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল কর্মী আমিরুল ইসলাম বলেন, “উনাদের কাজে-কর্মে দলের নেতৃত্ব অসন্তুষ্ট হলে বললেই হত যে আপনারা এইসব করবেন না। কিন্তু
মিডিয়াতে যেভাবে ফলাও করে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে সেটা কিন্তু অন্যরকম।”