জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন রোববার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর
ডটকমকে বলেন, “ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তিনি এখন জেলে
আছেন।
“ওখানকার বিভাগীয় কমিশনার বা ডেপুটি কমিশনার (ডিসি) এ
বিষয়ে আমাদের প্রতিবেদন দিলে আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব, অর্থাৎ তাকে সাময়িক বরখাস্ত
করা হবে।”
সরকারি চাকরি আইনের ৩৯ (২) ধারায় বলা আছে, “কোনো কর্মচারী
দেনার দায়ে কারাগারে আটক থাকলে অথবা কোনো ফৌজদারি মামলায় প্রেপ্তার হলে বা তার বিরুদ্ধে
অভিযোগপত্র গৃহীত হলে, সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ আটক, গ্রেপ্তার বা অভিযোগপত্র
গ্রহণের দিন হতে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করতে পারবে।”
একজন কর্মকর্তা জানান, উপসচিব নুরুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত
করে ‘কেন তাকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে না’, তা জানতে চেয়ে নোটিস পাঠানো হবে। সেই
নোটিসের জবাব পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক অন্যান্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে, একই সঙ্গে
ফৌজদারি মামলাও চলবে।
গত শুক্রবার রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের মহানন্দা সেতু
টোলঘর এলাকায় অভিযান চলাকালে নূরুজ্জামানের সরকারি গাড়িতে তল্লাশি করে পাঁচটি কোকাকোলার
বোতলে সাড়ে ছয় লিটার ফেনসিডিল পান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্কতা; নূরুজ্জামান
নিজেই ওই গাড়ি চালাচ্ছিলেন।
এ সময় নুরুজ্জামানের সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার
আব্বাস বাজার গ্রামের মোহাম্মদ ওয়াহদিুজ্জামান লাজুক ছিলেন।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা তাদের আটক
করলে নূরুজ্জামান নিজের পরিচয় দেন। ওই রাতে তাকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সার্কিট হাউসে নেওয়া
হয়, সেখানে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারাও আসেন।
পরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থানায় পরিদর্শক সাইফুর রহমান বাদী
হয়ে শনিবার বিকালে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই দিন বিকেলে তাদের আদালতে নিলে বিচারক
দুজনকেই জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন।