ক্যাটাগরি

যুক্তরাজ্যের ফ্লাইট বন্ধ করল ভারত, সৌদিতে বন্ধ আন্তর্জাতিক ফ্লাইট

এছাড়া, সড়ক এবং সমুদ্রপথেও সৌদি আরবে প্রবেশ এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। পরে তা আরও বাড়ানোও হতে পারে।

ওদিকে, ভারত আপাতত ২৩-৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বিমান চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যুক্তরাজ্য ভ্রমণেও জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।

৩১ ডিসেম্বর রাত প্রায় ১২ টা পর্যন্ত যুক্তরাজ্য থেকে কোনও বিমান ভারতে প্রবেশ করতে পারবে না। আবার ভারত থেকেও কোনও বিমান যুক্তরাজ্যে যাবে না।

ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেইনের প্রাদুর্ভাব হওয়ার পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে আলাপ-আলোচনা শুরু হয়েছিল। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনায় যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আপাতত বিমান চলাচল বন্ধ করতে কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই সোমবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বিমান পরিষেবা মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার রাত ১১টা ৫০ মিনিট থেকে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হচ্ছে। তার আগ পর্যন্ত যুক্তরাজ্য থেকে ভারতে পৌঁছানো যাত্রীদের বিমানবন্দরে বাধ্যতামূলকভাবে আরটিপিসিআর পরীক্ষা করতে হবে।

গত শনিবার যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও বিজ্ঞানীরা দেশটিতে করোনাভাইরাসের একটি নতুন রূপ শনাক্তের কথা ঘোষণা করে এ ধরনটি ৭০ শতাংশ বেশি সংক্রামক বলে জানান।

এরপরই গোটা বিশ্বে নতুন করে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ায় যুক্তরাজ্যের সঙ্গে এরই মধ্যে সাময়িকভাবে বিমান চলাচল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, ইতালিসহ ইউরোপের একাধিক দেশ।

তাছাড়া, করোনাভাইরাসের নতুন ধরনটি কেবল যুক্তরাজ্যেই নয় আরও কয়েকটি দেশেও দেখা গেছে। এ মাসের শুরুতে নেদারল্যান্ডসে পরীক্ষায় ঠিক একই ধরনের ভাইরাসের স্ট্রেইন পাওয়া গেছে।

অস্ট্রেলিয়াও সোমবার করোনাভাইরাসের অতি-সংক্রামক নতুন ধরনের প্রাদুর্ভাবের কথা জানিয়েছে। যুক্তরাজ্য থেকে অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়া দুইজনের দেহে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ইতালিতেও করোনাভাইরাসের একইরকম নতুন ধরন দেখা গেছে বলে শোনা যাচ্ছে।

এরই প্রেক্ষাপটে সৌদি আরব সেদেশে আপাতত সমস্ত আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ রেখেছে বলে জানিয়েছে ‘দ্য ডন’ পত্রিকা।

করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ‘নিয়ন্ত্রণের বাইরে’, সতর্ক করলেন ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী

যুক্তরাজ্যের ফ্লাইট নিষিদ্ধ করল নেদারল্যান্ডস-বেলজিয়াম

করোনাভাইরাস: ব্রিটেনের জন্য দরজা বন্ধ করছে প্রতিবেশীরা
 

তবে যে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলো এরই মধ্যে সৌদি আরবে রয়েছে সেগুলোর ক্ষেত্রে এই স্থগিতাদেশ প্রযোজ্য হবে না। ওই ফ্লাইটগুলো সৌদি আরব ছেড়ে যেতে পারবে বলে জানানো হয়েছে খবরে।