বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক আজিজুর রহমান জানান,
সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ সিনেট ভবনে
অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের এক জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত
হয়।
এর আগে গত ১১ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও একইভাবে পরীক্ষা
নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দুশ্চিন্তার কথা উল্লেখ
করে মানববন্ধনও করেছেন।
গত ১৩ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন
অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর
শ্রেণির চূড়ান্ত পরীক্ষা ও সেমিস্টার ফাইনাল নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে।
আজিজুর রহমান বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য
অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের সভাপতিত্বে
সভায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে এই পরীক্ষা শেষ
করার সুপারিশ করা হয়েছে। পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ২ জানুয়ারি থেকে।”
ফিল্ড ওয়ার্ক, ইন্টার্নশিপ, মৌখিক
ও ইনকোর্স পরীক্ষা সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় একাডেমিক ও পরীক্ষা কমিটি সিদ্ধান্ত
নেবেন বলে তিনি জানান।
সভার বরাত দিয়ে তিনি আরও জানান, পরীক্ষা গ্রহণের
সুবিধার্থে পূর্বনির্ধারিত ৩ থেকে ৭ জানুয়ারির শীতকালীন ছুটি বাতিল করা হয়েছে। আর
৩ জানুয়ারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসমূহ সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা
থাকবে।
হল বন্ধ রেখে পরীক্ষার সিদ্ধান্ত ঢাবির, দুশ্চিন্তায় শিক্ষার্থীরা
ঢাবিতে হল খুলে দিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা নেওয়ার অনুমতি
কোভিড-১৯ সংক্রমণজনিত কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এই
সভায় শুধু অনুষদ অধিকর্তা,
ইনস্টিটিউট পরিচালক, বিভাগীয় সভাপতি,
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও গ্রন্থাগারিক এবং নির্বাচিত শিক্ষক
প্রতিনিধিরা সশরীরে উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক ক্যাটাগরি ও চ্যান্সেলর মনোনীত সদস্যরা
ভার্চুয়াল মিটিং প্ল্যাটফর্ম জুমের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে সভায় অংশ নেন বলে জানান তিনি।