সোমবার সকালে শহরের সাতমাথায় পাঁচ দফা দাবিতে মানববন্ধন পালন শেষে ডিসিসহ পৌর মেয়রকে স্মারকলিপি দিয়েছে এ শহরের অটোরিকশা-ভ্যান মালিক-শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদ।
মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে নেতারা বলেন, অটোরিকশা-ভ্যানের লাইসেন্স প্রদান, গাড়ি ভাঙচুর বন্ধ, চালকদের শারীরিক নির্যাতন বন্ধ, গাড়ির সিট খুলে নেওয়া, চাকা পাংচার করা এবং জরিমানা করা বন্ধ করতে হবে।
তারা বলেন, অসহায় গরিব মানুষরাই এসব যানবাহন চালিয়ে পেটের ক্ষুধা মেটানোসহ ছেলে-মেয়েদের পড়ার খরচ জোগায়। অথচ এসব গাড়ি চালানোর লাইসেন্স না দেওয়ার ট্রাফিক পুলিশের নির্যাতনের স্বীকারসহ ঝামেলা পোহাচ্ছেন তারা।
এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করে সমস্যা সমাধানের দাবি জানান তারা।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন সংগঠনের আহ্বায়ক কবির হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হাই, রঞ্জন কুমার দে, আমিনুল ইসলাম ও অন্যান্যরা।
তবে অটোরিকশা শ্রমিকদের শারীরিক নির্যাতনের কথা অস্বীকার করে বগুড়ার ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম বলেন, ২০১৮ সালের পরিবহন আইন অনুযায়ী লাইসেন্সবিহীন অটোরিকশা-ভ্যানের বিরুদ্ধে জরিমানা ধরে ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা জমা নেওয়া হয়।
“অবৈধ এসব রিকশা যানজট তীব্র করে শহর প্রায় অচল করে ফেলছে।”
বগুড়া পৌরসভার মেয়র মাহবুবুর রহমান বলেন, একবার লাইসেন্স দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলাম কিন্তু মন্ত্রণায়ল থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে পায়ে চালানো রিকশা ছাড়া ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার লাইসেন্স না দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “তাই দিতে পারিনি। নিয়মের বাইরে কোনো কাজ করা ঠিক হবে না।”