সোমবার দুপুরে মার্কেট
ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেন তারা।
ফুলবাড়িয়া সুপার
মার্কেট বেইজমেন্টের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি মাসুদ হোসেন লিখিত বক্তব্যে বলেন, “১৯৯৭ সাল থেকে আমরা ৫৪১ জন
ব্যবসায়ী বেইজমেন্টে ব্যবসা করে আসছি। প্রয়াত মেয়র হানিফ সাহেব আমাদেরকে অস্থায়ীভাবে
বরাদ্দ দিয়েছেন। বাজার শাখা থেকে মাসিক ৫০০ টাকা ভাড়া হিসেবে সিটি করপোরেশনের মেয়র
স্বাক্ষরিত রিসিটের মাধ্যমে ভাড়া আদায় করা হত।
“বর্তমানে আমরা মাসিক
১৬০০ টাকা করে রিসিটের মাধ্যমে ভাড়া পরিশোধ করে যাচ্ছিলাম। এরপর আমাদের নামে নামজারি
ও ট্রেড লাইসেন্সের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। এখানে আরও উল্লেখ্য থাকছে যে, মাননীয় সাবেক
মেয়র মোহাম্মদ হানিফ সাহেব বোর্ড মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, কোনো প্রয়োজনে বেইজমেন্ট
নিয়ে গেলে এই ৫৪১ জন ব্যবসায়ীকে ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেটের ব্লক এ বি সি এর দ্বিতীয়,
তৃতীয়, চতুর্থ তলায় পুনর্বাসন করে এখান থেকে উচ্ছেদ করা হবে।”
মেয়র শেখ ফজলে নূর
তাপসের কাছে দাবি রেখে তিনি বলেন, “আমাদের আকুল আবেদন, ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন করে তারপরে
উচ্ছেদ করবেন।
“সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন
আমাদের ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেটের ২ এর ব্লক সি এর ২৮২টি দোকান না দিয়ে তার নিজস্ব
লোকদের বরাদ্দ দেন। এই ২৮২টি দোকান বেইজমেন্টের ব্যবসায়ীদের পাওয়ার কথা ছিল। আমাদের
আকুল আবেদন এই ৫৪১জন ব্যবসায়ীকে পুনর্বাসন করে উচ্ছেদ করবেন।”
ব্যবসায়ী আরিফুল ইসলাম
বলেন, “২০২১ সালের জুলাই পর্যন্ত এই দোকানগুলোর ভাড়া সিটি করপোরেশনে আমরা জমা দিয়েছি।
কিন্তু ভাড়া নেওয়ার সময় উচ্ছেদের বিষয়ে তারা কিছুই জানায়নি। এভাবে গণহারে ব্যবসায়ীদের
উচ্ছেদ করলে আমরা পথে বসে যাব। অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হবে।”
এ বিষয়ে সিটি করপোরেশনের
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইরফান আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অবৈধ দোকান
আমরা উচ্ছেদ করছি। ব্যবসায়ীদের কোনো কথা থাকলে মেয়রের কাছে বলতে হবে।”