প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার মন্ত্রিসভার
ভার্চুয়াল বৈঠকে ‘কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০২০’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন
দেওয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম পরে সচিবালয়ে
এক ব্রিফিংয়ে জানান, বাংলাদেশে মোট ১৫৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম চলছে, এর
মধ্যে ৪৬টি সরকারি এবং ১০৭টি বেসরকারি। আর দেশে সাতটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় চালু আছে।
নতুন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়টি কুড়িগ্রামে স্থাপন করা হবে
জানিয়ে আনোয়ারুল বলেন, “কৃড়িগ্রাম এক সময় মঙ্গাপীড়িত ছিল,
সেখানে যদি এ ধরনের বিশ্ববিদ্যালয় হয় তবে গবেষণা হবে, ফার্মিং হবে। এর মধ্যে দিয়ে তাদের
অবস্থার আরও উত্তরণ হবে।
“কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা
ও ফার্মিংয়ের মাধ্যমে যে টেকনোলজি ডেভেলপ হবে তা কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, লালমনিরহাটে
বিস্তৃত হলে ওই লোকজন ফার্মিংয়ের মাধ্যমে ভুট্টা, শাক-সব্জি, মিষ্টি আলু ও মিষ্টি কুমড়া,
মাছ উৎপাদনের মাধ্যমে তাদের অবস্থার আরও উন্নত করতে পারবে।”

মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিআইডি
কুড়িগ্রামে এই বিশ্ববিদ্যালয়
প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “ওই এলাকার লোকজনের কৃষি ও সার্বিক
অর্থনীতির উন্নয়ন করার লক্ষ্য নিয়ে সেখানে এই বিশ্ববিদ্যালয় করা হচ্ছে।”
আনোয়ারুল জানান, বিশ্ববিদ্যালয়টির
আচার্য হবেন রাষ্ট্রপতি, বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ট্রেজারার থাকবেন।
খসড়া আইনে সিন্ডিকেট, অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল, অর্থ কমিটির বিষয়ে বিস্তারিতভাবে বলা হয়েছে।
অন্যান্য কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আইনকে অনুসরণ করে নতুই
এই আইন করা হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।