ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তরের
উপপরিচালক তানভীর আহমেদের নেতৃত্বে সোমবার উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরে সোনারগাঁও জনপথ
রোডের এই দোকানে অভিযান চালানো হয়। চিকেন ফ্রাই, বার্গার, গ্রিল ও অন্যান্য ফাস্টফুড
বিক্রি করে তারা।
গোয়েন্দা দল ফাস্ট
ফুড বিক্রির বাণিজ্যিক দলিলাদি ও কম্পিউটারের তথ্য জব্দ করে।
ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর
জানায়, একজন ক্রেতা মি. মানিক ফুডের খাবার খেয়ে বিল দিতে গিয়ে কাউন্টারে ভ্যাটের চালান
চান। কিন্তু স্টোরটি তা না দিলে ওই ক্রেতা ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেন।
ওই অভিযোগ অনুসন্ধান করে গোয়েন্দারা দেখতে পান, গত ১৮ ডিসেম্বর ৫৭ নম্বর টোকেনে উত্তরার
স্টোরটি খাবার ক্রয়ের রশিদ দিলেও এতে ১৩ ডিজিটের মূসক নম্বরের উল্লেখ নেই।
“ভ্যাট গোয়েন্দাদের
দল পরিদর্শনের সময় দলিলাদি যাচাই করে ফাস্ট ফুডের ভ্যাট চালানের রেকর্ডে ওই বিক্রয়টি
পাননি। এতে প্রতীয়মান হয়েছে, ফাস্ট ফুড কর্তৃপক্ষ ভ্যাট ফাঁকি দিতে ডুপ্লিকেট হিসাব
সংরক্ষণ করেন।
“জব্দকৃত কাগজে দেখা
গেছে. গত ৬ মাসে উত্তরার শাখা থেকে গড়ে এক লক্ষ টাকার বিক্রয় দেখানো হয়েছে। তবে গোয়েন্দারা
দেখেন মি. মানিক ফাস্ট ফুড ফুডপান্ডা, সহজ ও অন্যান্য অনলাইনের মাধ্যমে তাদের খাবার
হোম ডেলিভারিও করে আসছেন।
“গোয়েন্দারা ফুডপান্ডা
ও সহজের সিস্টেম থেকে যাচাই করে দেখতে পান যে, উক্ত ৬ মাসে প্রতিষ্ঠানটি কেবল অনলাইনে
গড়ে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার খাবার সরবরাহ করেছে “
মানিক ফুডসের প্রাঙ্গণে
বসে ক্রেতারা ‘আরও বেশি খাবার কেনেন’ বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে।
ভ্যাট গোয়েন্দারা জব্দকরা
কাগজপত্র আরও যাচাই করে মোট ভ্যাট ফাঁকির পরিমাণ নির্ণয় করছেন।
দৈনিক বিক্রির তথ্যের
জন্য ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে।
সার্বিকভাবে প্রতিষ্ঠানটির
হিসাব বিশ্লেষণ করে মানিক ফুডসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ভ্যাটে গোয়েন্দা
অধিদপ্তর জানিয়েছে।