সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা আব্দুর রাজ্জাক ও মহিউদ্দিন চৌধুরীর স্মরণসভায় বক্তব্যে তিনি এই আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে কালো ব্যাজ ধারণের কর্মসূচি দিয়েছিল বিএনপি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, “বিএনপিকে অনুরোধ জানাবো, তারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন, তখন সীমান্ত হত্যা কী পরিমাণ ছিল, আর এখন কোন পর্যায়ে আছে, সেই পরিসংখ্যানটা একটু খতিয়ে দেখার জন্য।
“তাদের আমল থেকে সীমান্ত হত্যা এখন অনেক কমে এসেছে। এই সীমান্ত হত্যা যাতে একেবারেই শূন্যের কোঠায় নেমে আসে, সেজন্য আমাদের সরকার চেষ্টা করছে এবং আগামীকাল দু-দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।”
তিনি বলেন, “আমি বিএনপিকে অনুরোধ জানাবো যে, আপনারা যে মানুষকে পেট্রোল বোমা মেরে, পুড়িয়ে হত্যা করেছেন আর আপনাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান সাহেব নির্বিচারে সৈনিক হত্যা করেছেন, সেজন্য জনগণের কাছে করজোড়ে ক্ষমা চেয়ে লাল ব্যাজ ধারণ করবেন। কারণ আপনারা যেভাবে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছেন, রাজনৈতিক কারণে এভাবে পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা সমসাময়িক পৃথিবীতে কোথাও ঘটেনি। যে দল মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে, আর সীমান্ত হত্যার কথা বলে কালোব্যাজ ধারণ করে, এর পেছনে একটি দুরভিসন্ধি আছে, এ নিয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।”
বিএনপি নেতা হাফিজ উদ্দিন আহমেদের প্রসঙ্গ টেনে হাছান মাহমুদ বলেন, “বিএনপির একজন ভাইস চেয়ারম্যান জনসম্মুখে বললেন, বিএনপিতে জেলা পর্যায়ে কমিটি করার সময় বাণিজ্য হচ্ছে। যারা দলের কমিটি করার সময় বাণিজ্য করে, তারা যদি দেশের দায়িত্ব পায়, তাহলে দেশটাই তো তারা বাণিজ্যের জন্য বিক্রি করে দিতে পারে। এদের হাতে দলও নিরাপদ নয়, দেশও নিরাপদ নয়।”
দেশে দুঃশাসন চলছে বলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তথ্যমন্ত্রী বলেন, “আপনারা ক্ষমতায় থাকতে ইংরেজদের কুঠিবাড়ির নীলকরের মতো টোল আদায়ের জন্য হাওয়া ভবন প্রতিষ্ঠা করে সমান্তরাল সরকার চালিয়েছেন। আর খোয়াব ভবন করা হয়েছিল আমোদ-ফুর্তি করার জন্য।
“আপনাদের সময় ২১ অগাস্টে গ্রেনেড হামলা হয়েছে, সারাদেশে ৫০০ জায়গায় একযোগে বোমা হামলা হয়েছে, দেশ পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ান হয়েছে। আপনারা দুর্নীতি আর দুঃশাসনের মাধ্যমে দেশটাকে কোথায় নিয়ে গিয়েছিলেন, সেই কথাটা একটু চিন্তা করুন।”
স্মরণ সভায় পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, প্রয়াত রাজ্জাকের ছেলে সাংসদ নাহিম রাজ্জাক, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা বক্তব্য রাখেন।