ক্যাটাগরি

চাঁদপুরে যাত্রীবাহী লঞ্চে ডাকাতি

সোমবার সকালে শরীয়তপুরের মান্দারহাট এলাকায় পদ্মা নদীতে এমভি শাহআলী-৪ লঞ্চে ডাকাতির এ ঘটনায় প্রায় ৬০ জন যাত্রীর কাছ থেকে মোবাইল সেট, নগদ অর্থ, স্বর্ণালঙ্কারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আটক ডাকাত সদস্য বিল্লাল হোসেন নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্দিরগঞ্জ উপজেলার পাইনাদী এলাকার আক্কাস আলীর ছেলে।

এমভি শাহআলী-৪ লঞ্চের মালিক আক্তার হোসেন জানান, সোমবার সকাল ৯টায় শরীয়তপুর জেলার সুরেশ্বর লঞ্চঘাট থেকে লঞ্চটি চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। সকাল পৌনে ১০টার দিকে মান্দারহাট অতিক্রম করার সময় পদ্মা নদীতে ডাকাতির কবলে পড়ে লঞ্চটি। দুটি স্পিডবোটে করে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র ও রামদাসহ ডাকাতরা লঞ্চটির গতিরোধ করে লঞ্চে উঠে পড়ে।  এ সময় প্রায় ১৫-২০ জন  ডাকাত যাত্রীদের জিম্মি করে মারধোর করে এবং বিভিন্ন মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে।

তিনি বলেন, “ডাকাতরা আমাকেও মারধর করে আমার সঙ্গে থাকা প্রায় ৩০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।”

লঞ্চের মাস্টার হেলাল উদ্দিন বলেন, “ডাকাতরা লঞ্চে উঠেই আমাকে অস্ত্র ধরে লঞ্চ বন্ধ করার নির্দেশ দেয়। এ সময় আমি জীবন বাঁচাতে লঞ্চ বন্ধ করে দেই এবং কাউকে কোন প্রকার ক্ষতি না করার আহ্বান জানাই ডাকাতদের।”

এ সময় লঞ্চে সুরেশ্বর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই জয়নাল ছিলেন। ডাকাতরা তারও মোবাইল সেট ও টাকা-পয়সা হাতিয়ে যায়। পরে ডাকাতরা পালিয়ে যাওয়ার সময় বিল্লাল নামের একজন ডাকাতকে যাত্রীরা আটক করে পুলিশে দেয় বলে জানান হেলাল। 

এ ব্যাপারে নৌ পুলিশের এসপি কামরুজ্জামান বলেন, দুটি স্পিডবোটে করে সঙ্গবদ্ধভাবে একদল ডাকাত লঞ্চটিতে হামলা চালায়। এ সময় যাত্রীদের কাছ থেকে মোবাইলসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। ”

নৌপথে প্রায়াই ডাকাতির ঘটনা কেন ঘটছে জানতে চাইলে  জেলার পুলিশ সুপার বলেন, “মূলত শীতকালে কুয়াশার কারণে নৌপথে ডাকাতি বেড়ে যায়। ডাকাতরা নিজেদের সহজেই লুকিয়ে রাখতে পারে এবং নৌযানগুলোও ধিরে চলাচল করে। তার পরেও আমরা তৎপর রয়েছি। নৌপথে ডাকাতিরোধে প্রয়োজনে যাত্রীবাহী লঞ্চগুলোতে সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়ন করা হবে। আমরা ডাকাদের ধরতে কাজ করে যাচ্ছি।”

এর আগে গত ১৯ নভেম্বর রাতে চাঁদপুর-নারায়ণগঞ্জ নৌ-রুটে চলাচলকারী একটি যাত্রীবাহী লঞ্চ মেঘনা নদীতে ডাকাতদের কবলে পড়ে।