ক্যাটাগরি

নির্বাচনের বার্ষিকীতে বিক্ষোভ করবে বিএনপি

সোমবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে
এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, “আগামী ৩০ ডিসেম্বর সেই কলঙ্কময়
কালো দিবসের দ্বিতীয় বছর পূরণ হবে। বাংলাদেশের মানুষ এই দিনটিকে ক্ষোভ ও ঘৃণার সঙ্গেই
স্মরণ করে।”

ফখরুল বলেন, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন
বাতিল করে পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে জেলা ও মহানগর পর্যায়ে আগামী ৩০ ডিসেম্বর বেলা
১১টায় বিক্ষোভ সমাবেশ করবে বিএনপি। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর যৌথভাবে প্রেস ক্লাবের
সামনে এই কর্মসূচি পালন করবে।

দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করা বিএনপি কামাল
হোসেনের সঙ্গে জোট বেঁধে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ
নির্বাচনে অংশ নেয়। সেই ভোটে ২৫৮ আসনে অভাবনীয় জয় পায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে
মাত্র ছয়টি আসনে জয় পেয়ে ভরাডুবি হয় বিএনপির।

নির্বাচনে
ভোট ডাকাতির অভিযোগ এনে বিএনপি ওই ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে। শুরুতে শপথ না নেওয়ার
অবস্থানে অনড় থাকলেও শেষ পর্যন্ত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়া
নির্বাচিত বাকিরা সংসদে যান। 

মির্জা ফখরুল জানান, নির্বাচনের দ্বিতীয়
বার্ষিকীতে এই কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত গত ১৯ ডিসেম্বর তাদের স্থায়ী কমিটির সভায়
অনুমোদন পেয়েছে।

দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের
সভাপতিত্বে ওই ভার্চুয়াল বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব ছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ
হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল
মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ
টুকু উপস্থিত ছিলেন।

ভ্যাকসিন প্রসঙ্গ

চলমান করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে ভ্যাকসিন
সংগ্রহ ও বিতরণের বিষয়ে একটি পরিকল্পনা সরকার প্রকাশ করলেও তা ‘জনগণের কাছে স্পষ্ট
নয়’ বলে সংবাদ সম্মেলনে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।

তিনি বলেন, ভ্যাকসিন সংগ্রহ, সংরক্ষণ, পরিবহন
এবং বিতরণের বিষয়টি ‘অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে’ সম্পন্ন করা জরুরি। এ বিষয়ে ঠিকভাবে নীতিমালা
অনুসরণ এবং টিকাদানকর্মীদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ।

“কাল বিলম্ব না করে একটি রোড ম্যাপ প্রণয়ন
ও তা জনগনের কাছে স্পষ্টভাবে অবহিতকরণ, সকল ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করণ এবং জনগণের
স্বাস্থ্য নিরাপত্তাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে পুরো পরিকল্পনা জনগণের কাছে প্রকাশ করা
প্রয়োজন বলে বিএনপির স্থায়ী কমিটি মনে করে।”

স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সীমান্ত হত্যা বন্ধ
করার দাবি জানানোর পাশাপাশি পৌরসভা নির্বাচনের জন্য ‘সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করতে না পারায়’
নির্বাচন কমিশনের নিন্দা করা হয় বলে জানান ফখরুল।

গত ১৭ ডিসেম্বর ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে
যেসব চুক্তি হয়েছে, তা ‘বিস্তারিতভাবে জনগণের কাছে’ প্রকাশ করারও দাবি জানানো হয় বিএনপির
সংবাদ সম্মেলনে।